

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। তবে কোমর, নিতম্ব ও পিঠের ব্যথা অনেক সময় দৈনন্দিন কাজকর্মকে কঠিন করে তোলে।
বিশেষ করে যারা নিয়মিত টাইট জিন্স বা ট্রাউজার পরেন এবং দীর্ঘ সময় বসে কাজ করেন, তাদের নিতম্বের পেশিতে টান ধরা বা ব্যথার ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি।
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নিতম্বের সবচেয়ে বড় পেশি গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস দুর্বল হয়ে পড়লে রক্ত সঞ্চালনে বাধা তৈরি হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস বলা হয়। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে ধীরে ধীরে আর্থ্রাইটিস হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাসের সঙ্গে যুক্ত অন্য দুটি পেশি (গ্লুটিয়াস মিডিয়াস ও মিনিমাস) যদি সঠিকভাবে কাজ না করে, তবে নিতম্বে ব্যথা বাড়তে পারে। এ অবস্থায় রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকিও দেখা দেয়। অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, টাইট পোশাক ব্যবহার বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের প্রভাবেও এ সমস্যা তীব্র হতে পারে।
ব্যথা বা প্রদাহ কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করা উচিত। গরম বা ঠান্ডা সেঁক সাময়িক আরাম দিতে পারে।
নিয়মিত স্ট্রেচিং ও হালকা ব্যায়াম পেশি নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। বসার সময় ভঙ্গি সঠিক রাখা জরুরি, যাতে নিতম্বে চাপ কম পড়ে।
জটিল ক্ষেত্রে হাড়ে ক্ষতি হলে জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট বা কার্টিলেজ রিপেয়ার চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
বারবার আঁটসাঁট জিন্স পরা বা ঘন্টার পর ঘন্টা একটানা বসে থাকা অভ্যাসে রূপ নিলে নিতম্বে নানা সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। তাই শরীর যে সংকেত দিচ্ছে, সেটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা নিলে এ ধরনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং সুস্থ জীবনযাপন করা যায়।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    