

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


২০১০ সালের ২৫ মার্চ দেশে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মূলত মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পায়।
দীর্ঘ এই সময়ে অনেক উচ্চপ্রোফাইল মামলার রায় ঘোষণা করেছে ট্রাইব্যুনালটি। সেই একই প্রতিষ্ঠানে আজ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দেওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের ইতিহাসে সর্বাধিক আলোচিত রায়গুলোর মধ্যে ছিল জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সাজা।
মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেব দোষী প্রমাণিত হয়ে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও মীর কাসেম আলীর।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড পরবর্তী ধাপে আমৃত্যু কারাদণ্ডে পরিবর্তিত হয়, আর গোলাম আযম পান ৯০ বছরের সাজা।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড উচ্চ আদালতেও বহাল থেকে কার্যকর হয়।
জিয়াউর রহমান সরকারের মন্ত্রী আবদুল আলীম মামলার বিচার চলাকালে কারাগারে মারা যান।
২০২৩ সালের জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গণহত্যা, আক্রমণের চেষ্টা, নির্যাতন, উসকানি ও ষড়যন্ত্রের মতো নানা অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় আজ ঘোষিত হবে।
গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী মামলাগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম রায়, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে বাড়তি গুরুত্ব তৈরি করেছে।
একসময় এই ভবন থেকেই যুদ্ধাপরাধের রায় ঘোষণা হয়েছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে। এখন সেই একই আদালত তার বিরুদ্ধেই আনা অভিযোগের বিচারিক সিদ্ধান্ত দিতে যাচ্ছে—এক ধরনের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হলেও প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এ ছাড়া তার সরকারের সাবেক কয়েকজন মন্ত্রী ও ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধেও ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে, যা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে।
মন্তব্য করুন
