

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আগামী জাতীয় নির্বাচনে সহযোগী দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতার কাজ এগিয়ে নিতে বিএনপি শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছে।
খুব শিগগিরই তারা যুগপৎ আন্দোলনে জড়িত দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় দলটি।
বিএনপি এখন পর্যন্ত ২৩৬টি আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে।
এর মধ্যে কয়েকটি আসনে সমমনা দলগুলোর নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
অন্যদিকে ৬৪টি আসন এখনো শূন্য রাখা হয়েছে—এসব আসনের বিষয়ে সহযোগী দল, জোটসঙ্গী ও দলের অভ্যন্তরে মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের সঙ্গেও আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে বলে দলীয় সূত্র জানায়।
বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আসন বণ্টনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দায়িত্ব পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সমমনা দলগুলোর সঙ্গে তারা শিগগিরই বৈঠক করবেন। আলোচনায় শুধু আসন বণ্টনই নয়, নির্বাচনী অংশগ্রহণের সার্বিক কৌশলও আলোচনায় আসবে।
তবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানান, আলোচনা শুরু হলেও আসন বণ্টনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঠিক হয়নি।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিএনপির সঙ্গে এখনো আসন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হয়নি, তবে দু'বার বৈঠক হয়েছে।
সেখানে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন—আগামী সপ্তাহে আসন নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় অগ্রগতি হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানান, বিএনপি কিছু সময় নিয়েছে নিজেদের যাচাই–বাছাই সম্পন্ন করতে। তাদের মতে অদূর ভবিষ্যতে বসে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
এ ছাড়া সমমনা জোটের ইসলামপন্থি দলগুলোর ১২ জন নেতাকে আসন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকজন ইতোমধ্যেই অনানুষ্ঠানিক সম্মতি পেয়েছেন।
পাশাপাশি এনসিপির সঙ্গেও বিএনপির আসন সমঝোতা বিষয়ে আলাপ চলছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
