রবিবার
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম
প্রতীকী ছবি
expand
প্রতীকী ছবি

আমতলী উপজেলার পশুরবুনিয়া এলাকায় বেড়াতে এসে নিখোঁজের একদিন পর হাসানুর রহমান পান্না (১২) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে।

নিহত পান্নার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার খাজরা গ্রামে। তার বাবার নাম সফিকুল ইসলাম গাজী।

স্থানীয়রা জানায়, পায়রা নদীর তীরে ব্লক নির্মাণ কাজ করছে মেসার্স জাকির এন্টারপ্রাইজ। ওই প্রতিষ্ঠানের লেবার সরদার ইয়াসিনের কাছে ১০ দিন আগে বেড়াতে আসে পান্না।

শুক্রবার রাতে শ্রমিক হাসান গাজী দোকান থেকে শিশুটিকে সোয়াবিন তেল নিয়ে বাসায় যেতে বলেন। বাসায় তেল রেখে দোকানে ফিরে পান্না ভগ্নিপতি ইয়াসিনের কাছ থেকে একশ টাকা নিয়ে আবার বাড়ির দিকে রওনা দেয়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ হয়।

রাতভর খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করা হয়। নিখোঁজের একদিন পর শনিবার সন্ধ্যায় পায়রা নদীর পাড়ে জিও ব্যাগের ফাঁকে পান্নার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

শ্রমিক হাসান গাজী বলেন, পান্না আমার গ্রামের ছেলে। দোকান থেকে বাসায় পাঠানোর পর থেকেই আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে নদীর ধারে জিও ব্যাগের মাঝে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।

শিশুটির বাবা সফিকুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার সব শেষ হয়ে গেল। বেড়াতে এসে ছেলেটা কীভাবে মারা গেল বুঝতে পারছি না।

জাকির এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. নুরুল আমিন বলেন, নিখোঁজের একদিন পর জিও ব্যাগের ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন