শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৬ এএম
পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: ছবি সংগৃহীত
expand
পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: ছবি সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে সংঘটিত গুম ও হত্যা এবং জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির করার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

একইসঙ্গে গুম সংক্রান্ত দুই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ২০ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই আদেশ দেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল।

অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এদিন সকাল ৮টার পর তিনটি মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে শুনানিতে অংশ নেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

শুনানির সময় পলাতক আসামিদের অনুপস্থিতির বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে আদালত নির্দেশ দেন, নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে তাদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।

আদালত জানান, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও যদি পলাতক আসামিরা আত্মসমর্পণ না করেন, তবে আইনের প্রক্রিয়ায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার চালিয়ে যাওয়া হবে।

ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আগামী শুনানির আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সময়কালে টিএফআই-জেআইসি সেলে সংঘটিত গুম ও হত্যার অভিযোগ এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনাগুলো নিয়ে পৃথকভাবে এই তিনটি মামলা দায়ের হয়।

এসব মামলার অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সরকারপ্রধানসহ কয়েকজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা।

প্রসিকিউশন বলছে, এসব অপরাধ রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দিষ্ট অংশের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছিল, যার ফলে বহু ব্যক্তি নিখোঁজ বা নিহত হন।

ট্রাইব্যুনাল পর্যবেক্ষণে জানায়, অভিযুক্তরা বর্তমানে পলাতক থাকায় মামলার কার্যক্রমে বিলম্ব হচ্ছে। তাই তাদের হাজিরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা জরুরি।

বিচারক প্যানেল বলেন, “আসামিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমেই বিচারিক প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানো সম্ভব হবে।”

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পরবর্তী তারিখে প্রসিকিউশন নতুন প্রমাণপত্র ও সাক্ষীর তালিকা উপস্থাপন করবে।

এদিকে প্রতিরক্ষা পক্ষে নিযুক্ত রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা বলেন, আসামিদের পক্ষে আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তারা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ট্রাইব্যুনাল গুম সংক্রান্ত দুই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেছে। ওইদিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবেদন দাখিল ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের সময়সূচি নির্ধারিত হবে বলে আদালত জানিয়েছে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন