

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দুইটি গুম এবং একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
পাশাপাশি পলাতক শেখ হাসিনা, তারেক সিদ্দিকীসহ অন্যান্য আসামিদের হাজিরের জন্য জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই নির্দেশ দেন।
অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে সকাল সোয়া ৭টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজনভ্যানে করে সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। শুনানি শুরু হলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তিনটি আবেদন দাখিল করেন—এর মধ্যে ছিল জামিন আবেদন ও সেনা নিবাসের ভেতরে বিচার চলাকালে সাময়িক কারাবাসের প্রস্তাব।
আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে আসামিদের সাধারণ কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই রাজধানীতে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।
ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্ট মাজারগেট এলাকাজুড়ে দেখা গেছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গড়ে তোলা হয় বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মোট ৩৪ জন আসামির নাম রয়েছে। এর মধ্যে দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে, এবং সামরিক বাহিনীর ১৫ কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
কারাগারে পাঠানো সেনা কর্মকর্তারা হলেন- র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।
মন্তব্য করুন
