বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানুষ প্রতিদিন ৬৮ হাজার ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা শ্বাসের মাধ্যমে নিচ্ছে

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
যা পরবর্তীতে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়
expand
যা পরবর্তীতে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়

মানুষ প্রতিদিন অজান্তেই বিপুল পরিমাণ ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে নিচ্ছে—এমন তথ্য উঠে এসেছে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায়। গবেষকরা বলছেন, গড়ে একজন মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৬৮ হাজার পর্যন্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা গ্রহণ করতে পারে।

বৈজ্ঞানিক জার্নাল প্লস ওয়ান-এ প্রকাশিত গবেষণাটিতে উল্লেখ করা হয়, মাইক্রোপ্লাস্টিকের এই সূক্ষ্ম কণাগুলো আকারে মাত্র ১ থেকে ১০ মাইক্রোমিটার, যা মানুষের চুলের ব্যাসের প্রায় এক-সপ্তমাংশ। এতটাই ক্ষুদ্র হওয়ায় এগুলো সহজেই ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করতে পারে এবং রক্তপ্রবাহে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।

এর আগে বায়ুবাহিত মাইক্রোপ্লাস্টিকের বড় আকারের টুকরো শনাক্ত করা হলেও সেগুলোকে তেমন ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়নি। কারণ বড় কণা সহজে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে না বা ফুসফুসের গভীরে পৌঁছায় না। তবে নতুন গবেষণার ফল বলছে, ক্ষুদ্র কণাগুলোই মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।

গবেষণার সহ-লেখক, ফ্রান্সের তুলুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী নাদিয়া ইয়াকোভেনকো জানান, “আমরা যে মাত্রায় মাইক্রোপ্লাস্টিক পেয়েছি, তা আমাদেরও বিস্মিত করেছে। এটি পূর্ববর্তী অনুমানের তুলনায় অনেক বেশি। ছোট আকারের কারণে এগুলো শরীরের টিস্যুতে প্রবেশ করে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে।”

মাইক্রোপ্লাস্টিক সাধারণত প্লাস্টিক দ্রব্য ভেঙে ছোট ছোট অংশে পরিণত হলে তৈরি হয়, আবার কিছু ভোগ্যপণ্যে এগুলো ইচ্ছাকৃতভাবেও মেশানো হয়। এসব কণায় প্রায় ১৬ হাজার ধরনের রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে, যাদের অনেকগুলো মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মাইক্রোপ্লাস্টিক প্লাসেন্টা ও মস্তিষ্কের প্রতিরোধক প্রাচীর অতিক্রম করতে পারে। খাদ্য, পানি ও বায়ুর মাধ্যমেই এগুলো মানবদেহে প্রবেশ করে। দীর্ঘদিন শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণ করলে ফুসফুসে প্রদাহ হতে পারে, যা পরবর্তীতে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন