বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অ্যানথ্রাক্স নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যে সতর্কবার্তা দিল

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম
অ্যানথ্রাক্স নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যে সতর্কবার্তা দিল
expand
অ্যানথ্রাক্স নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যে সতর্কবার্তা দিল

রংপুরের কাউনিয়া, মিঠাপুকুর ও পীরগাছা উপজেলায় অন্তত ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স রোগ শনাক্ত হয়েছে।

এ ঘটনায় আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়লেও বিশেষজ্ঞরা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, অ্যানথ্রাক্স একটি প্রাণিবাহিত সংক্রামক রোগ, যা সাধারণত গবাদিপশুর মধ্যে দেখা দিলেও মানুষের শরীরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। উত্তরাঞ্চলের কিছু জেলায় এর ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি।

অ্যানথ্রাক্স সাধারণত গরু, ছাগল বা ভেড়ার মতো তৃণভোজী প্রাণীতে হয়। আক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে আসা, দূষিত চামড়া বা হাড় ছোঁয়া কিংবা কাঁচা বা আধা-সেদ্ধ মাংস খাওয়ার মাধ্যমে মানুষের দেহে রোগের জীবাণু প্রবেশ করে। সংক্রমণের পর ১ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এর উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আহমেদ নওশের আলম বলেন, অসুস্থ গবাদিপশু জবাই করলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই অসুস্থ পশুর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত। আতঙ্ক নয়, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও আইইডিসিআরের সাবেক উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেনও একই পরামর্শ দিয়ে বলেন, অসুস্থ পশু জবাই করা যাবে না। মারা গেলে অবশ্যই মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে, জলাশয়ে ফেলা যাবে না।

চিকিৎসকদের মতে, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হলে জ্বর, গোলাকার ক্ষত বা ফুসকুড়ি এবং চুলকানির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এর চিকিৎসা অ্যান্টিবায়োটিক ও লোশনের মাধ্যমে সম্ভব।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আক্রান্ত এলাকাগুলোতে দ্রুত টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে। আইইডিসিআরের তথ্যমতে, বাংলাদেশে অ্যানথ্রাক্স একটি এন্ডেমিক রোগ। ২০১০ সাল থেকে প্রায় প্রতিবছর বিভিন্ন এলাকায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মেহেরপুর, টাঙ্গাইল ও রাজশাহীর কয়েকটি উপজেলায় এ বিষয়ে সক্রিয় নজরদারি চালানো হচ্ছে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন