

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চলতি বছর দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এর মধ্যে এমন কিছু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, যা প্রচলিত ডেঙ্গু লক্ষণের সঙ্গে মিলছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগীরা অনেক সময় বুঝতেই পারছেন না তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা—ফলে চিকিৎসা নিতে দেরি হওয়ায় মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে। শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরও অনেকের জীবন রক্ষা করা যাচ্ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এ বছর দেশে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৭৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন, যার মধ্যে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের ৮০ শতাংশই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রথম তিন দিনের মধ্যেই মারা যান।
বাকি ১৪ শতাংশ ৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে, এবং প্রায় ৬ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ১১ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো চিকিৎসা না নেওয়াই প্রাথমিক ৭২ ঘণ্টায় মৃত্যুর অন্যতম কারণ।
মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নিয়াতুজ্জামান বলেন, “এবার ডেঙ্গুর নতুন ধরনের কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, যেগুলোর সঙ্গে সাধারণ মানুষ পরিচিত নয়। এগুলোকে বলা হচ্ছে কমপ্লিকেটেড বা এক্সটেনডেড ডেঙ্গু সিনড্রোম।
এসব উপসর্গ অবহেলা করলে জটিলতা দ্রুত বাড়ে। অনেকেই হাসপাতালে আসছেন অনেক দেরিতে—তখন চিকিৎসার সুযোগ সীমিত হয়ে যায়।”
তিনি আরও জানান, আগে যেখানে জ্বর, মাথাব্যথা ও শরীরব্যথা ছিল প্রধান লক্ষণ, এখন অনেক রোগী এসব উপসর্গ ছাড়াই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
“এ বছর দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারের মতো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন,” বলেন তিনি। “তারা হয়তো আগে এক ধরনের ভাইরাস ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত ছিলেন, এখন অন্য ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন—ফলে উপসর্গগুলোও আগের মতো নয়।”
ডা. নিয়াতুজ্জামান পরামর্শ দেন—এই মৌসুমে যদি শরীরে হঠাৎ দুর্বলতা, তীব্র ব্যথা, রক্তক্ষরণ বা অস্বাভাবিক কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে। সময়মতো চিকিৎসা নিলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব।
মন্তব্য করুন
