

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


এক পাকিস্তানি নারী দাবি করেছেন, তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্বামী তাকে করাচিতে রেখে গোপনে দিল্লিতে দ্বিতীয় বিয়ের আয়োজন করছেন।
নিকিতা নাগদেব নামে পরিচিত এই নারী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় বিচার চান।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর পাকিস্তান ও ভারতের সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
নিকিতার ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি করাচিতে হিন্দু রীতিতে তার বিয়ে হয় বিক্রম নাগদেবের সঙ্গে।
ভারতীয় পরিবারের সন্তান হলেও বিক্রম দীর্ঘমেয়াদি ভিসার মাধ্যমে ভারতের ইন্দোরে বসবাস করতেন।
বিয়ের পর প্রথমে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ভারতে যান, কিন্তু ওই বছরের ৯ জুলাই ‘ভিসার সমস্যা’ দেখিয়ে আটারি সীমান্তে পৌঁছে নিকিতাকে জোর করে পাকিস্তানে ফেরত পাঠান।
এরপর থেকে তিনি স্ত্রীকে আর আনতে কোনো উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ।
ভিডিও বার্তায় নিকিতা বলেন, “আমি তাকে অসংখ্যবার জানিয়েছি আমাকে ভারতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য, কিন্তু তিনি কখনোই রাজি হননি।”
করাচি থেকে পাঠানো ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, “আমার মতো কেউ যদি ন্যায় না পায়, নারীরা বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারাবে।”
তার দাবি, ভারতে পৌঁছানোর পর থেকেই স্বামীর ও শ্বশুরবাড়ির আচরণ বদলে যায়। তিনি জানতে পারেন, বিক্রম পরিবারের এক আত্মীয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত।
বিষয়টি শ্বশুরকে জানালে তিনি ‘এ ধরনের ঘটনা ছেলেদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক’ বলে উড়িয়ে দেন।
নিকিতা আরও অভিযোগ করেন, কোভিড–১৯ লকডাউনের সময় স্বামী তাকে জোরপূর্বক পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেন এবং বর্তমানে তাকে ভারতে প্রবেশ করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
করাচিতে ফিরে তিনি জানতে পারেন, বিক্রম দিল্লিতে আরেক নারীর সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি তিনি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এটি পরে যায় মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট অনুমোদিত সিন্ধি পঞ্চ মধ্যস্থতা ও আইনি সহায়তা কেন্দ্রে।
সেখানে বিক্রম ও তার কথিত বাগদত্তাকে নোটিশ পাঠানো হয় এবং শুনানিও অনুষ্ঠিত হয়।
কিন্তু মধ্যস্থতা ব্যর্থ হলে কেন্দ্রটি জানায়—বিষয়টি পাকিস্তানের এখতিয়ারভুক্ত এবং বিক্রমকে পাকিস্তানে পাঠানোর সুপারিশ করা উচিত।
এর আগেও ইন্দোর সমাজ পঞ্চায়েত এই অভিযোগ পর্যালোচনা করে বিক্রমকে নির্বাসনের পরামর্শ দেয়।
ইন্দোরের জেলা প্রশাসক আশীষ সিং জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে এবং রিপোর্ট হাতে এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন

