

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য আপিলের টানা সপ্তম দিনের শুনানি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিএনপির পক্ষে শুনানি পরিচালনা করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে, ২ নভেম্বর ও ২৯, ২৮, ২৩, ২২ অক্টোবর এই আপিলের ধারাবাহিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
শুনানি ২১ অক্টোবর শুরু হলেও এর পেছনের ইতিহাস অনেক পুরনো। ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন, সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে।
প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট এই রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে। পরে আপিলের অনুমতি দেওয়ায় ২০০৫ সালে আপিল করা হয়।
২০১১ সালের ১০ মে, আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় দেন।
রায়ের পর ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস হয় এবং ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
২০১১ সালের পরও এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে কয়েকটি আবেদন জমা পড়ে। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আপিল করেন।
অন্য চারজন হলেন—তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
এরপর ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে পৃথকভাবে আবেদন করেন।
পাশাপাশি নওগাঁর রানীনগরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও গত বছর একই বিষয়ে আবেদন করেছেন।
এভাবেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর আপিল বর্তমানে সপ্তম দিনে প্রবেশ করেছে, যেখানে আদালত বিস্তারিত শুনানি গ্রহণ করছে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের যুক্তি বিবেচনা করছে।
মন্তব্য করুন
 
                    