

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আবারও ফিরছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু)।
মনোনয়ন বিতরণ ও জমাদান শেষে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসজুড়ে। আগামী ২০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের তারিখ ঠিক হয়েছে।
কিন্তু নির্বাচনী উত্তেজনার মাঝেই শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আটকে আছে এক প্রশ্নে।
শাকসু প্রতিনিধি নির্বাচিত হলে তারা বসবে কোথায়? কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই শাকসুর কোনো ভবন।
গোলচত্বরের পাশে শাকসুর স্থায়ী ভবনটি ভেঙে ফেলা হয় ২০০৫ সালে ছাত্রদল নেতা লিটন হত্যাকাণ্ডের পর। পরে একাডেমিক ভবন ‘এ’-এর পেছনে একটি টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হলেও সেটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে দুই বছর আগে।
বর্তমানে শাকসু ভবনের কোনো চিহ্নই নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের সিনিয়র সভাপতি মোহাম্মদ সোহাগ বলেন, ‘দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে শাকসু নির্বাচন না হওয়া এবং এখন পর্যন্ত শাকসু ভবন না থাকার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক চর্চার বড় ঘাটতিকে প্রকাশ করে। কার্যকর ছাত্রসংসদ ছাড়া ছাত্রদের মতামত, নেতৃত্ব বিকাশ ও জবাবদিহির পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
আর ভবন না থাকা মানে এই কাঠামোকে ইচ্ছাকৃতভাবে পঙ্গু করে রাখা। ফলে প্রশ্ন থেকেই যায়, গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও অগ্রগতির কথা বলা হলেও কেন ছাত্রসমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।’
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবি আহ্বায়ক পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর শাকসু হওয়াটা দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের ফল। শাকসু নিয়ে আমাদের পরবর্তী দাবি থাকবে প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে শাকসু আয়োজন করা।
এবং অনতিবিলম্বে শাকসু ভবন নির্মাণের দাবি জানাই। ছাত্র সংসদকে ছাত্র রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে হবে। আমাদের বিদ্যমান ছাত্র রাজনীতির ক্ষতিকর দিকগুলো ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমেই বিলোপ ঘটতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে শাকসু ভবন না থাকার বিষয়ে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এছাক মিয়া বলেন, ‘এটা তো ভাবার বিষয়। কিন্তু এখনো কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি।
আর নিলেও আমি অবগত নই। অবশ্যই আমাদের শাকসু প্রতিনিধিদের বসার জন্য অফিসের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন হয়ে গেলে একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
উপাচার্যের হাতে একটি স্পেস থাকে। সেখানে কোনোভাবে তিনি ব্যবস্থা করে দেবেন।’
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, 'এটা নিয়ে ভাবিনি। তবে পরিকল্পনা অবশ্যই আছে। একদিনেই তো ভবন নির্মাণ করা যাবে না।
পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। ভবন নির্মাণের জন্য অনেক কিছুর প্রয়োজন। নির্বাচন চলে আসছে, তাই তাদের জন্য একটি ব্যবস্থা করে দিতে হবে।'
মন্তব্য করুন
