বৃহস্পতিবার
১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিটিশ কাউন্সিল পার্টনার স্কুলস প্রিন্সিপালস’ মিট-২০২৫ অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত হল ইংরেজি মাধ্যমের ১৮টি স্কুল

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
ব্রিটিশ কাউন্সিল পার্টনার স্কুলস প্রিন্সিপালস’ মিট-২০২৫ অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত হল ইংরেজি মাধ্যমের ১৮টি স্কুল
expand
ব্রিটিশ কাউন্সিল পার্টনার স্কুলস প্রিন্সিপালস’ মিট-২০২৫ অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত হল ইংরেজি মাধ্যমের ১৮টি স্কুল

স্কুলের অধ্যক্ষদের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময়, প্রাসঙ্গিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা এবং সাফল্য উদযাপনে অনুষ্ঠিত হল ব্রিটিশ কাউন্সিল পার্টনার স্কুলস প্রিন্সিপালস’ মিট ২০২৫। ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে ১২ নভেম্বর ঢাকার র‍্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন দেশের দুই শ’রও বেশি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের অধ্যক্ষগণ। বার্ষিক এ আয়োজনে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পার্টনার স্কুলস কমিউনিটির স্কুলগুলো নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরির পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো একত্রে উদযাপন করে।

অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বলেন, “আমাদের পার্টনার স্কুল নেটওয়ার্কের স্কুলেগুলোর নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের একটি প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করতে পারা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। এই বার্ষিক আয়োজন নেটওয়ার্ক তৈরি করা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও শেখার সুযোগ তৈরি করে। সমতা, বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি, গ্রিন অ্যাওয়ার্ড, নেতৃত্ব ও সুরক্ষা বিষয়ক কর্মসূচি, ডিজিটাল লার্নিং এক্সিলেন্স এবং ওয়েলবিইং বিভাগে বিজয়ী সকলকে আমি অভিনন্দন জানাই। তাদের এই অসাধারণ উদ্যোগ শিক্ষা ক্ষেত্রে শক্তিশালী একটি কমিউনিটি তৈরিতে অবদান রাখছে, যা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা বিকাশে ভূমিকা রাখবে।”

ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সাম ডিরেক্টর বাংলাদেশ ম্যাক্সিম রাইমান তার বক্তব্যে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিস্তৃত পরিসরে ও কার্যকর উপায়ে পরীক্ষা পরিচালনা প্রভাব নিয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এরপর ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর অপারেশনস এক্সমিনেশনস জুনায়েদ আহমেদ ‘দ্য ভ্যালু উই ডেলিভার: আওয়ার পার্টনারশিপ ডিভিডেন্ড’ শীর্ষক এক উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনায় তিনি পার্টনার স্কুল নেটওয়ার্কের বাস্তব সুফল ও প্রভাব তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে এ বছরের পুরস্কারপ্রাপ্ত স্কুলগুলোর অনন্য অর্জন উদযাপন করা হয়। সমতা, বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি বিভাগে সেরার স্বীকৃতি লাভ করে ফ্রোবেল অ্যাকাডেমি। স্যার জন উইলসন স্কুল গ্রিন অ্যাওয়ার্ড ও ওয়েলবিইং বিভাগে জয়ী হয়। লিডারশিপ প্রোগ্রামে বিজয়ী হয় সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং সেফগার্ডিং বিভাগে স্বীকৃতি লাভ করে স্কলাস্টিকা। ডিজিটাল লার্নিং এক্সিলেন্স বিভাগে জয়ী হয় সেন্ট জোসেফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ওয়েলবিইং বিভাগে বিজয়ীর তালিকায় ছিল সামারফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। স্কুলগুলো উদ্ভাবন, নেতৃত্ব ও অন্তর্ভুক্তি, টেকসই এবং সহায়ক শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার পূরণের মাধ্যমে স্বীকৃতি অর্জন করে।

অনুষ্ঠানে ‘লার্নিং নোজ নো বাউন্ডস’ শীর্ষক অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাবিষয়ক উপস্থাপনা দেন বৈচিত্র্য, সমতা, অন্তর্ভুক্তি ও শিক্ষা বিশেষজ্ঞ লিমিয়া দেওয়ান। পাশাপাশি, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের মাস্টার ট্রেইনার সানা শাহীদ কন্টিনিউয়িং প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট ও অনলাইন সাপোর্ট ফর স্কুলস (ওএসএস) বিষয়ে ব্রিফিং উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশের সমৃদ্ধ, ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্য উদযাপনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সমাপনী ঘোষণা করা হয়। ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর অব বিজনেস ডেভলপমেন্ট তাহনী ইয়াসমিনের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন