

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু রায় ঘোষণার অপেক্ষা।
এছাড়া কয়েকটি অন্য মামলার বিচারও শেষের পথে রয়েছে। এগুলো হলো: চানখাঁরপুলে ছয়জনের হত্যা, আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা, রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা এবং রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা যুবকের গুলির মামলা। প্রসিকিউশন আশা করছে, এই চার মামলার বিচার শিগগিরই সম্পন্ন হবে।
শেখ হাসিনা ও অন্যান্য তিন আসামির মামলা
গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন উপপরিচালক মো. জানে আলম খান। পরে উপপরিচালক মো. আলমগীর এই মামলার তদন্ত করেন। বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১২ মে দাখিল করা হয় এবং ৩১ মে সম্পূরক অভিযোগ, ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়। ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন। অপর দুই আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সাবেক আইজিপি মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ চরমদণ্ড দাবি করেছে, অপরদিকে আসামিপক্ষ খালাস চায়।
চানখাঁরপুলে ছয়জনের হত্যা
চানখাঁরপুলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলমান। এ মামলায় ৮ আসামি ছিলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তা। তদন্ত সংস্থা ১১ এপ্রিল প্রতিবেদন জমা দেয়, অভিযোগ গঠন করা হয় ১৪ জুলাই, এবং সাক্ষ্য শুরু হয় ১০ আগস্ট।
আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা
গত বছরের ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে ছয়জনকে হত্যা করা হয়। পাঁচজন নিহত ও একজন আহত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার অভিযোগ রয়েছে। মামলায় মোট ১৬ জন আসামি।
আবু সাঈদ হত্যা
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশি গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন। মামলায় ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে, এর মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার। পলাতক আসামিদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রাক্তন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
রামপুরার মামলা
গত বছরের ১৯ জুলাই রামপুরায় পুলিশের গুলিতে একজন যুবক আহত হন। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে, একজন গ্রেপ্তার।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “ফেব্রুয়ারির সম্ভাব্য নির্বাচনের সঙ্গে এসব মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন হবে নির্ধারিত সময়ে, এবং মামলা চলবে মামলার মতো। বর্তমানে চলমান সাক্ষ্যগ্রহণগুলো অধিকাংশই শেষের দিকে।”
মন্তব্য করুন
