দেশে ছড়িয়ে পড়ছে বিপজ্জনক নতুন মাদক ‘এমডিএমবি’: ডিএনসি

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ভেপ বা ই-সিগারেটকে ব্যবহার করে ‘এমডিএমবি’ নামে নতুন ধরনের বিপজ্জনক সিনথেটিক মাদক ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিএনসি একটি বড় চালানে এমডিএমবি জব্দ করেছে এবং এই মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করেছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন—এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খন্দকার তৌকিরুল কবির তামিম (২৬), মেহেদী হাসান রাকিব (২৬), বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেলস ও মার্কেটিং কর্মকর্তা মাসুম মাসফিকুর রহমান ওরফে সাহস (২৭) এবং সম্প্রতি ভারত থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ব্যবসা শুরু করা আশরাফুল ইসলাম (২৫)।

ডিএনসি অভিযান চালিয়ে ৩৪০ মিলিলিটার এমডিএমবি, সিবিডি মিশ্রিত গাঁজার চকলেট, ভেপ ডিভাইস, এমডিএমবি যুক্ত ই-লিকুইড এবং বিক্রির জন্য প্রস্তুত খালি ক্যানিস্টার উদ্ধার করা হয়।

হাসান মারুফ জানান, এমডিএমবি অত্যন্ত শক্তিশালী তরল সিনথেটিক মাদক, যার খুব সামান্য পরিমাণও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর। এটি দ্রুত আসক্তি সৃষ্টি করে এবং হ্যালুসিনেশন, অস্বাভাবিক আচরণ ও হৃদস্পন্দনের গোলযোগের মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু চক্র ভেপ ও ই-সিগারেটের তরলে এই মাদক মিশিয়ে বিক্রি করছে।

মাদকটি কীভাবে বাজারজাত হতো, সে সম্পর্কে তিনি জানান—মালয়েশিয়া থেকে মাদক এনে ফেসবুকের ক্লোজড গ্রুপ, রিভিউ পেজ এবং ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সংকেতপূর্ণ পোস্ট দিয়ে ক্রেতা সংগ্রহ করা হতো। আগ্রহীরা ইনবক্সে যোগাযোগ করলে হোয়াটসঅ্যাপে দামের আলোচনা ও সরবরাহ নিশ্চিত করা হতো।