

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে আশার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।
তিনি বলেন, হাদির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডা. তাসনিম জারা এ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত একটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং নতুন করে আর কোনো অপারেশনের প্রয়োজন নাও হতে পারে। তবে রোগীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড বিস্তারিত জানাবে। হাদি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন এবং তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। এ সময় তিনি অপ্রয়োজনীয় ভিড় এড়িয়ে চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান।
এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডা. তাসনিম জারা বলেন, আজকের ঘটনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। জুলাই আন্দোলনে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা নিয়মিত হুমকির মুখে পড়ছেন। এখনো হামলায় জড়িত কাউকে আটক করা না হওয়ায় প্রশাসনের ব্যর্থতা স্পষ্ট। এর জন্য সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি করতে হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর প্রায় ২টা ১৫ মিনিটের দিকে বিজয়নগরের পানির ট্যাংকির কাছে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে পরিবারের সিদ্ধান্তে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত ও বিস্তৃত তদন্তের মাধ্যমে হামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর এই হামলা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ঘটে যাওয়া অন্যতম উদ্বেগজনক ঘটনা। এটি দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় পরিকল্পিত আঘাত এবং পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
এর আগে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন ডা. তাসনিম জারা। ফেসবুকে তিনি লেখেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় কামনা হলো—ওসমান হাদি যেন বেঁচে থাকেন এবং দ্রুত নিরাপদ চিকিৎসা পান।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনুমাননির্ভর বক্তব্য বা রাজনৈতিক দোষারোপ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। তবে রাষ্ট্রের জন্য সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে এবং তদন্তের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে জনগণকে জানাতে হবে। তদন্তের নামে গড়িমসি বা বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন

