

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাশিয়ার দুটি বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরপরই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যায় প্রায় ৫ শতাংশ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর চাপ সৃষ্টির অংশ হিসেবে।
বুধবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৫ দশমিক ৬৫ ডলার ছুঁয়েছে—যা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি রসনেফট এবং বেসরকারি তেল প্রতিষ্ঠান লুকঅয়েল। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি, মার্কিন নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রাখতে নিষেধ করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন আরও সতর্ক করেছে যে, রসনেফট ও লুকঅয়েলের সঙ্গে ব্যবসা করলে বিদেশি ব্যাংকগুলোও ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’-এর মুখে পড়তে পারে। এতে চীন, ভারত ও তুরস্কের মতো দেশগুলোর আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রভাবিত হতে পারে, যারা রাশিয়ার তেল লেনদেনে যুক্ত।
রয়টার্স জানায়, ভারতের প্রধান তেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ রাশিয়া থেকে তেল কেনা সাময়িকভাবে কমানোর বা স্থগিত করার কথা ভাবছে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বড় পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। পশ্চিমা তেল কোম্পানি শেল ও বিপি-এর শেয়ারমূল্যও প্রায় ৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
এটি ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে রাশিয়া বিষয়ে জারি করা প্রথম বড় নিষেধাজ্ঞা। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, এগুলো খুব কঠোর নিষেধাজ্ঞা। আশা করি এগুলো বেশি দিন স্থায়ী হবে না। আমরা চাই যুদ্ধ দ্রুত শেষ হোক।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি পুতিন ও (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট) জেলেনস্কি আলোচনায় বসবেন। শান্তিপূর্ণ সমাধানই একমাত্র পথ।
অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, যুদ্ধ শেষ করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টায় আমরা সহায়তা করছি। প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এবং মিত্র দেশগুলোকেও আমরা এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানাই।
বিশ্লেষকদের মতে, গত জুলাইয়ের পর এটি তেলের দামের সবচেয়ে বড় একদিনের উল্লম্ফন।
মন্তব্য করুন
