শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের করাচি সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করবে বাংলাদেশ

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৪ পিএম
পাকিস্তানের করাচি সমুদ্রবন্দর
expand
পাকিস্তানের করাচি সমুদ্রবন্দর

বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে যে, বাংলাদেশ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য পাকিস্তানের করাচি সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এর মাধ্যমে চীনসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যেও সুবিধা হবে। কবে এবং কীভাবে বন্দর ব্যবহার হবে, তা নির্ধারণ করা হবে দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী বৈঠকে। ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের দিন-তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) নবম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল, নেতৃত্ব দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। পাকিস্তানের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। দুই দশক পর অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটির পূর্ববর্তী বৈঠক হয়েছিল ২০০৫ সালে।

এক সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, করাচি বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষের আগ্রহ বেশি। বন্দর ব্যবহারের আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বিস্তারিতভাবে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে।

এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশের পাট পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তও পাকিস্তান জানিয়েছে। দুই দেশ বিমান যোগাযোগ, বিনিয়োগ সুরক্ষা, কৃষি, ব্যাংকিং, আর্থিক সেবা, জ্বালানি এবং শিক্ষা ও প্রযুক্তি সহযোগিতা বিষয়েও আলোচনা করেছে।

বৈঠকের শেষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটি (পিএইচএ) হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নৌ চলাচল ও আকাশ পথে যোগাযোগ সম্প্রসারণসহ কৃষি, বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও খাদ্য খাত নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যা দুই দেশের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” পাকিস্তানের মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক বলেন, “এই আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাট ও ওষুধ আমদানির বিষয়েও আলোচনা করেছি।”

বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বৈঠকে বলেন, “ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের পাশাপাশি এখন প্রয়োজন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা। বাণিজ্য সুবিধা বাড়িয়ে এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব।”

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন