

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়াঞ্চলে জিআই স্বীকৃত আনারসে এ মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। ভরা মৌসুমে দামও ভালো থাকায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। প্রতিদিন জমজমাট বাজারে আনারস বিক্রি হচ্ছে লাখো টাকায়।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি ২০২৪-২৫ মৌসুমে মধুপুরে ৬ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে আনারস আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে জলডুগি জাতের ২ হাজার ৩৯২ হেক্টর, ক্যালেন্ডার জাতের ৪ হাজার ২২০ হেক্টর এবং ফিলিপাইনের আমদানি করা এমডি-টু জাতের ১৮ হেক্টর জমি রয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৭৬০ কোটি টাকা।
জানা যায়, পঁচিশ মাইল খ্যাত জলছত্র দেশের সবচেয়ে বড় আনারসের বাজার। এছাড়া মোটের বাজার ও গারো বাজারেও পাইকারদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন শতাধিক ছোট-বড় ট্রাকে মধুপুর থেকে আনারস যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক দিন আগে যে আনারস ৪০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা বেড়ে ৪২-৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরমে চাহিদা বাড়ায় কৃষক ও পাইকাররা দুপক্ষই সন্তুষ্ট।
মধুপুরে আনারস চাষ শুরু হয় ১৯৪২ সালে। ইদিলপুর গ্রামের গারো নারী মিজি দয়াময়ী সাংমা ভারতের মেঘালয় থেকে ৭৫০টি আনারস চারা এনে এর সূচনা করেছিলেন। সেই আনারসই আজ পেয়েছে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি। বর্তমানে আনারস মধুপুরের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি।
কৃষক সুরুজ আলী বলেন, “একটি আনারস উৎপাদনে ১৫-১৮ টাকা খরচ হয়। বর্তমান বাজারে ভালো দাম পাচ্ছি।” স্থানীয় ব্যবসায়ী শামসুল হক জানান, “পরিবহন ব্যয় বেড়েছে, তবে পাইকারি চাহিদা বেশি থাকায় দামও বাড়ছে।”
মধুপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাজবিনূর রাত্রী বলেন, “কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আনারস এখন শুধু স্থানীয় অর্থনীতিই নয়, জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।”
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    