

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিশ্বের সর্বাধিক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ হিসেবে পরিচিতি পেতে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামের ২০১ গম্বুজ মসজিদ। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে নির্মিত এই মসজিদে রয়েছে অসাধারণ কারুকাজ ও আধুনিক স্থাপত্যশৈলী।
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকে মসজিদটির কাজ চলমান রয়েছে। প্রায় ১৫ বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠা এই মসজিদ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। ১৪৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের দ্বি-তলবিশিষ্ট মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
মসজিদের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ৪৫১ ফুট উঁচু প্রধান মিনার, যা উচ্চতার দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে থাকবে। পাশাপাশি মূল ভবনের চার কোণে ১০১ ফুট উচ্চতার মিনার এবং আরও কয়েকটি ছোট-বড় মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। ছাদের কেন্দ্রে ৮১ ফুট উচ্চতার মূল গম্বুজসহ রয়েছে মোট ২০১টি গম্বুজ।
মসজিদের দেয়ালে টাইলসে খচিত থাকবে পবিত্র কোরআনের পূর্ণ ৩০ পারা। প্রধান দরজায় ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ৫০ মণ পিতল। নির্মাণসামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত মার্বেল ও বিশেষ পাথর আনা হয়েছে চীন ও ইতালি থেকে, যা রাষ্ট্রীয় ছাড়পত্রের মাধ্যমে শুল্কমুক্ত অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
২০১৮ সাল থেকে এখানে ঈদের নামাজ আদায় শুরু হয়। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ হাজার দর্শনার্থী আসেন মসজিদ দেখতে ও নামাজ পড়তে। শুক্রবার জুমার নামাজে নামকরা ইসলামি আলেমরা অতিথি খতিব হিসেবে অংশ নেন।
মসজিদ কমপ্লেক্সে থাকছে মরদেহ সংরক্ষণের হিমাগার, জানাজার স্থান, দুঃস্থ নারীদের জন্য হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা। মসজিদকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে আশপাশে মার্কেট, দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং বিনোদন পার্ক গড়ে উঠেছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেছে।
২০১ গম্বুজ মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক হুমায়ুন কবীর জানান, “মসজিদের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসছেন। এটি শুধু একটি উপাসনালয় নয়, বরং এলাকার উন্নয়নেরও অনন্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে।”
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    