

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সম্প্রতি যমুনা রেলসেতুর পিলারের নিচে ক্ষুদ্র ফাঁকা স্থান বা দাগের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এগুলোকে ফাটল বলে দাবি করলেও, প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়েছে— এগুলো আসলে প্রচণ্ড গরমের প্রভাবে সৃষ্ট সূক্ষ্ম ‘হেয়ারক্র্যাক’ বা চুলের মতো সূক্ষ্ম রেখা, যা কাঠামোগত কোনো ঝুঁকি তৈরি করছে না।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মার্ক হ্যাবি বলেন, সেতুর পশ্চিম প্রান্তের আট থেকে দশটি পিলারের নিচে কিছু হেয়ারক্র্যাক শনাক্ত হয়েছে।
এগুলো আসল ফাটল নয়, বরং আবহাওয়াজনিত কারণে তৈরি সূক্ষ্ম ফাঁকা, যার গভীরতা শূন্য দশমিক এক থেকে তিন মিলিমিটারের মধ্যে।”
তিনি জানান, ইতোমধ্যে ওই স্থানগুলোতে বিশেষ রেজিন বা আঠার প্রলেপ দিয়ে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
মার্ক হ্যাবির আরো বলেন, এটি কোনো নির্মাণ ত্রুটি নয়, এমনকি ‘হানিকম্ব’ সমস্যাও নয়। তাপমাত্রার ওঠানামা ও পরিবেশগত চাপে কংক্রিটে এ ধরনের ক্ষুদ্র রেখা তৈরি হতে পারে। এসব ফাঁকা সেতুর স্থায়িত্ব বা নিরাপত্তায় কোনো প্রভাব ফেলবে না।
তিনি আরও বলেন, এগুলো নিয়মিতভাবে ঘষে ও প্রলেপ দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। ট্রেন চলাচল বা সেতুর কাঠামো নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই। তবে কেউ কেউ ছবিগুলো বড় করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
উল্লেখ্য, যমুনা সেতুর প্রায় ৩০০ মিটার উজানে নির্মিত এই রেলসেতুটি দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু। প্রায় ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে রয়েছে ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যান।
২০২৫ সালের ১৮ মার্চ যমুনা রেলসেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এতে দুটি লাইন (ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক) রয়েছে, যার একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    