

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নলকূপ বসাতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে গ্যাস। আর সেই গ্যাসেই চলছে গ্রামের মানুষের রান্না। এতে একদিকে যেমন উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রা, তেমনি অন্যদিকে রয়েছে শঙ্কা। কারণ, যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা স্থানীয়দের।
জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া মধ্যপাড়া গ্রামের শ্রমিক নূর মোহাম্মদের বাড়িতে তিনটি স্থানে নলকূপ বসাতে গিয়ে মিলেছে গ্যাসের সন্ধান।
নূর মোহাম্মদ জানান, গেল ১৪অক্টোবর সকালে শ্রমিক দিয়ে সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর জন্য দেড় ইঞ্চি পাইপ দিয়ে বোরিং করতে যায়। এসময় ৫৫ফুট গভীরে পাইপ বসানোর পর পাইপ উপড়ে উঠে যায় এবং বের হতে থাকে অনবরত গ্যাস। এরপর বাড়ির অন্য পাশে আরও দুই জায়গায় ৪৫ ও ৪০ফুট খনন করলেও সেখানে একি অবস্থার পর বের হতে থাকে গ্যাস। পরে শ্রমিকরা দুটি বোরিংয়ের গর্ত মাটিচাপা দিয়ে রাখলেও একটি দিয়ে অনবরত বের হতেই থাকে। আর এই গ্যাস দিয়েই টানা ১০দিন ধরে নিজের পরিবারসহ প্রতিবেশীদের হচ্ছে রান্নার কাজ হচ্ছে। এখন মাটির নিচে কী পরিমাণ গ্যাস আছে সেটাতো বোঝা যাচ্ছে না। এজন্য সরকারি লোকজন আসা দরকার। পরে যদবি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলেতো বিপদ।
বর্তমানে এই গ্যাসের উৎস নিয়ে কৌতূহল স্থানীয়দের। তারা চান, দ্রুত অনুসন্ধান করে নিশ্চিত করা হোক মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা গ্যাসের সম্ভাবনা কতটা বড়।
ওই গ্রামের বাসিন্দা হাকিম মিয়া বলেন, এ এলাকার মাটির নিচে অনেক গ্যাস আছে। কারণ, তিনট জায়গা বোরিং করার সময়ই বের হইছে। তাহলে গ্যাস আছে কি না বুঝেন আপনারা। আমি বলবো, সরকারি লোকজন এসে এখানে দেখুক কতটুকু গ্যাস। এগুলো উত্তোলন করা যায় কিনা।
রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হযরত আলী বলেন, গ্যাস বের হওয়ার খবর শোনার পর ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়েছি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করে ভিডিও পাঠিয়েছি। তবে, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। কখন কী হয় বোঝা মুশকিল। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থা দরকার। কারণ, একটু আগুন দিলে হু হু গ্যাস বের হতে থাকে। আবার ফুঁ দিলেই আগুন নিভে যায়।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এরইমধ্যে পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া হচ্ছে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
