শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নকলায় আমন চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
নকলার বানেশ্বরদী গ্রামে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করছেন
expand
নকলার বানেশ্বরদী গ্রামে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করছেন

শেরপুরের নকলায় চলছে আমন ধানের চারা রোপণের ব্যস্ততা। কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলছেন, কেউ জমি চাষ ও মই দিয়ে জমি প্রস্তুত করছেন, আবার কেউ ইতোমধ্যে রোপণ কাজে ব্যস্ত। কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা দল বেঁধে মাঠে কাজ করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবারের মৌসুমে গত বছরের তুলনায় আমন আবাদে আরও বেশি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। প্রায় দুই-তিন সপ্তাহ আগে চারা রোপণের কাজ শুরু হয়েছে এবং চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কৃষকদের ভাষ্য, বৃষ্টির পানিতে আমন চাষ ভালো হয় এবং সেচ খরচও তুলনামূলকভাবে কম লাগে, ফলে কম ব্যয়ে বেশি লাভবান হওয়া যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নকলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায়—গনপদ্দী, নকলা, উরফা, গৌড়দ্বার, বানেশ্বরদী, পাঠাকাটা, চরঅষ্টধর, চন্দ্রকোনা—সবখানেই কৃষকরা জমিতে আমন চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৩ হাজার ১১১ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হবে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ৭,১৩৫ হেক্টর, উফশী জাতের ৪,৭৬৩ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ১,২১৩ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। সম্ভাব্য চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার ৭৪৮ মেট্রিক টন।

ভূরদী, মরাকান্দা, পোলাদেশী, বানেশ্বরদী, উরফা, চন্দ্রকোনা, জালালাপুর, ধুকুড়িয়া, কায়দাসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানান, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় দেরিতে চারা রোপণ শুরু হলেও বর্তমানে নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যেই সব জমিতে রোপণ কাজ শেষ হবে বলে তারা আশা করছেন।

অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তাবাসসুম মকবুলা দিশা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারের মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাগর চন্দ্র দে বলেন, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে বেশি জমি আবাদ করা যায় এবং ফলন বাড়ে। অন্য কর্মকর্তা ফারিহা ইয়াসমিন জানান, কৃষক ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের নিয়ে একাধিক কর্মশালা হয়েছে, যেখানে উৎপাদন বাড়ানোর নানা কৌশল আলোচনা করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী বলেন, আমন ধান রোপণে এলএলপি (লাইন, লেভেল, পদ্ধতি) পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যা ইতিমধ্যেই কৃষকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। এই পদ্ধতিতে কৃষকরা আরও বেশি লাভবান হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন