

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল ৭টি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্তির পর ভারতে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি শেরপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং মুক্তির কিছু সময়ের মধ্যেই সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে যান বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জানাজানি হলে জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলা বিএনপির নেতারা।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ পলাশ বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা জামিন পেলেই পুলিশ জেলগেট থেকে আবারও আটক করে। অথচ হত্যা মামলাসহ সাত মামলার আসামি কীভাবে জামিন নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেলেন?’
সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হজরত আলী অভিযোগ করেন, ‘এখানে টাকার খেলা হয়েছে। পুলিশ এবং সুবিধাভোগীদের সহায়তায় চন্দন উকিল দেশ ত্যাগ করেছেন। সরকারের উচিত এর সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া।’
শেরপুর জেলা কারাগারের জেলার আব্দুস সেলিম নিশ্চিত করেছেন যে, সোমবার সকালে চন্দন কুমার পাল মুক্তি পেয়েছেন।
কারাগার সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা এবং একটি হত্যা মামলাসহ মোট সাতটি মামলায় আটক চন্দন কুমার পাল ৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে মুক্তি পান। তবে ওইদিনই বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা আরেক মামলায় তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২৮ সেপ্টেম্বর ওই মামলাতেও উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান তিনি।
চন্দন কুমার পালের এই গোপন মুক্তি ও দেশত্যাগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, একজন শীর্ষস্থানীয় অভিযুক্ত নেতার জামিন ও দেশত্যাগের ঘটনা গোপন রেখে জনগণকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তারা আবারও আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে শহর বিএনপির নেতা ও পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমি শুধু শুনেছি তিনি জামিন পেয়েছেন। তবে বিস্তারিত কিছু জানি না।’
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর ভারত যাওয়ার সময় বেনাপোল স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ চন্দন কুমার পালকে আটক করে এবং পরবর্তীতে তাকে শেরপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    