

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী উলানিয়া বন্দরে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে একটি মসজিদ ও একটি মন্দির।
বহু বছর ধরে দুই ধর্মের মানুষ এখানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে—যা আজ ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে পরিচিত।
উলানিয়া শুধু বাণিজ্যের কেন্দ্র নয়, এটি সম্প্রীতিরও প্রতীক। বন্দরের কেন্দ্রেই পাশাপাশি অবস্থান মসজিদ ও মন্দিরের। প্রতিদিন এক পাশে আজানের ধ্বনি, অন্য পাশে ঘণ্টার শব্দ—তবু নেই কোনো বিরোধ বা বিভাজন। বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে অনন্য বন্ধন।
স্থানীয় বাসিন্দা সমীর কর্মকার জানান, “ছোটবেলা থেকেই এমন পরিবেশে বড় হয়েছি। ঈদে আমরা মুসলিম ভাইদের বাড়িতে যাই, আবার পূজায় তারাও আমাদের ঘরে আসে। সবাই সবাইকে সম্মান করে।”
মসজিদের ইমাম হাফেজ শামীম বলেন, “উলানিয়ায় সবাই একে অপরের ধর্মকে শ্রদ্ধা করে। এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই আমাদের এলাকার সৌন্দর্য।”
প্রায় ৮০ বছর ধরে পাশাপাশি টিকে আছে এই দুই উপাসনালয়। স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘ সহাবস্থানই প্রমাণ করে উলানিয়ার মানুষ কতটা সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়।
মন্দিরের পুরোহিত দিননাথ দাস বলেন, “দশ বছর ধরে এখানে পূজা-অর্চনা করছি। কখনও কোনো বাধা পাইনি, বরং মুসলিম ভাইয়েরা সব সময় পাশে থেকেছেন।”
রতনদীতালতলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা খান বলেন, “হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির এমন দৃষ্টান্ত সত্যিই বিরল। ভবিষ্যতেও এই ভ্রাতৃত্ব ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ধরে রাখতে চাই। এক পাশে নামাজ, অন্য পাশে পূজা—এটাই আমাদের গলাচিপার সৌন্দর্য।”
উলানিয়া বন্দরের এই পাশাপাশি মসজিদ-মন্দির আজ শুধু উপাসনালয় নয়; এটি গলাচিপার ধর্মীয় সম্প্রীতি ও মানবিক ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
