

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় মসজিদের ইমাম ও তাঁর স্ত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি হলেন—সৈয়দ মিস্ত্রীর ছেলে মো. রুবেল (৩৫)। অপর দুই অভিযুক্ত হলেন মো. জলিলের ছেলে মো. জহিরুল (২৭) ও আ. সাত্তার মেম্বারের ছেলে মো. পলাশ (২৬)। তাঁরা দুর্গাপুর উপজেলার সুতিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুল হাসান বলেন, ঘটনার পর একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১ অক্টোবর রাত ২টা থেকে পরদিন ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত উপজেলার সুতিয়াপাড়া নূরানী ও হাফিজিয়া মাদরাসায় ওই দম্পত্তির ওপর নির্যাতন চালানো হয়। ভুক্তভোগী ইমাম আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৮) পূর্বধলা উপজেলার খারছাইল গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই মাদরাসার শিক্ষক ও সুতিয়াপাড়া মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এজাহারে বলা হয়, পাঁচ মাস আগে ইমাম হিসেবে যোগ দেন মামুন। সম্প্রতি মসজিদ কমিটির অনুমতিতে তিনি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মাদরাসার পাশে একটি টিনসেড ঘরে বসবাস শুরু করেন। ১ অক্টোবর রাত ২টার দিকে অভিযুক্তরা মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে নাম ধরে ডাকেন। দরজা খোলামাত্র তাঁরা ধারালো অস্ত্র হাতে ঘরে ঢুকে মামুনকে মারধর করেন, তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটান এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভিডিও ধারণ করেন।
এ সময় অভিযুক্তরা ইমামের কাছে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং মাদরাসায় থাকা দুই ছাত্রকেও ভয়ভীতি ও মারধর করেন। যাওয়ার সময় তাঁরা মামলা করলে খুনের হুমকি দিয়ে চলে যান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনার পর স্থানীয়দের সহায়তায় ইমাম ও তাঁর স্ত্রী চিকিৎসা নেন। পরে বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগীর পক্ষে মামলা করেন।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
