

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


অভিমানে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে পোশাক কারখানায় চাকরি নিয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মুনা আক্তার (১৫)। কিন্তু চাকরিতে যোগ দেওয়ার তিন দিনের মাথায় আগুনে পুড়ে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) ভোরে মুনার মরদেহ নেত্রকোনার মদন উপজেলার কদমশ্রী গ্রামে আনা হয়। সে ওই গ্রামের সনু মিয়া ও মিনা আক্তার দম্পতির একমাত্র মেয়ে এবং চার ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মুনা কদমশ্রী এ ইউ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। কিছুদিন আগে অভিমান করে বাড়ি থেকে ঢাকায় যায়। সেখানে পরিচিত এক তরুণের মাধ্যমে মিরপুর রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। কিন্তু ওই কারখানার কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লেগে প্রাণ হারায় সে।
মুনার খালাতো ভাই ও মদন হাজি আবদুল আজিজ খান সরকারি কলেজের ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল বারী আকন্দ হীরা বলেন, মুনা শান্ত ও মেধাবী ছাত্রী ছিল। অভিমান করেই বাড়ি ছেড়েছিল। পরে জানতে পারি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুনে সে পুড়ে মারা গেছে। গতকাল রাতে ডিএনএ পরীক্ষায় পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর লাশ আনা হয়। আজ সকাল আটটায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।
ঘটনায় নিহতদের মধ্যে মুনাসহ নেত্রকোনার চারজনের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। অন্য তিনজন হলে, বারহাট্টার জয় মিয়া (২১), মোহনগঞ্জের তোফায়েল আহমেদ (১৮) ও আসমা আক্তার (১৪)। নিহত জয় মিয়ার স্ত্রী মারজিয়া সুলতানার (১৮) মরদেহ এখনো পাওয়া যায়নি।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, মিরপুরে আগুনে নিহতদের মধ্যে নেত্রকোনার চারজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে নিয়ম অনুযায়ী সহযোগিতা করা হবে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
