

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নেত্রকোনার মদনে এক ব্যতিক্রমী ও আলোচিত ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। বিয়ের পর বর নিজে নববধূর সঙ্গে বাসর না করে ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সেই সুযোগ দিতে চাওয়ায় দেখা দিয়েছে চরম অস্থিরতা। নববধূ এমন অস্বাভাবিক প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়ে বর্তমানে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত আবু ঢানের ছেলে কেনতু মিয়ার সঙ্গে পাশের ইউনিয়নের এক তরুণীর বিয়ে হয় ২৫ সেপ্টেম্বর। বিয়ের পর নববধূকে বাড়িতে আনেন কেনতু মিয়া। কিন্তু বন্ধুকে দেওয়া কথামতো বাসর রাত কাটানোর সুযোগ দিতে চাইলে নববধূ তা প্রত্যাখ্যান করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা হলেও এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কেনতু মিয়া ও শরিফ মিয়া নামের ওই দুই বন্ধু আগে থেকেই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ঈদুল আজহার পর শরিফ নিজের বিয়ে সম্পন্ন করেন। তখন দুজনের মধ্যে কথাবার্তার এক পর্যায়ে একজন আরেকজনের নববধূর সঙ্গে প্রথম রাত কাটাবে-এমন একটি প্রতিশ্রুতি হয়েছিল বলে স্থানীয়দের ধারণা। তবে কেনতু মিয়ার নববধূ বিষয়টি মানতে রাজি না হওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয়রা দুই বন্ধুর বাড়িতে গেলে তাদের মায়েরা জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা বিব্রত। শরিফের মা মানেদা আক্তার বলেন, আমার ছেলে আর কেনতু একসঙ্গে চলাফেরা করত। আমি ওদের সম্পর্ক ঠিক পছন্দ করতাম না। এখন এমন ঘটনায় আমরা লজ্জায় আছি।
ফোনে যোগাযোগ করা হলে কেনতু মিয়া জানান, ঘটনাটা এখন মিটে গেছে। তবে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম মিয়া বলেন, ঘটনাটি সত্যি। এ নিয়ে একবার গ্রাম্য সালিশও বসেছিল, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
প্রতিবেশী আব্দুল গণি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমন লজ্জাজনক ঘটনা আগে কখনো শুনিনি। সমাজে মুখ দেখানো দায় হয়ে গেছে।
অন্যদিকে, কেনতু মিয়ার ভাবি জাফরিন আক্তার বলেন, এ ঘটনার কারণে আমরা পরিবারের সবাই মানসম্মান হারিয়েছি। মানুষ এখন তিরস্কার করছে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। যদি অভিযোগ আসে, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    