

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ ডিলারকে অবরুদ্ধ করে গুদাম থেকে সার লুটের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের মেডিকেল মোড় গোল চত্বর এলাকায় মেসার্স ওয়াছেক খান সার বিক্রয় কেন্দ্রে লুটের ঘটনা ঘটে।
কৃষক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লালমনিরহাটের ব্র্যান্ডিং পন্য ভুট্টা চাষ। চলছে সেই ভুট্টা চাষাবাদের ভড়া মৌসুম। জেলার সব চেয়ে বেশি ভুট্টার চাষাবাদ হয় হাতীবান্ধা উপজেলায়। ভুট্টা চাষের শুরুতেই সার সংকটের খবরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। এ সার নিয়ে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘটছে নানান ধরনে অপ্রীতিকর ঘটনা।
রোববার সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের চাষিদের জন্য বিসিআইসি ডিলার মেসার্স ওয়াছেক খান তার উপজেলা সদরের মেডিল মোড়ের গুদাম থেকে সার বিক্রি শুরু করেন। শুরুতেই চাহিদার চেয়ে সার কম পেয়ে কৃষকরা ভুষে উঠে মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ৩ ঘন্টা চেষ্টার পরে আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) শামীম মিঞা।
ইউএনও'র দেয়া নির্দেশনা মোতাবেক উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের বসে কৃষকদের হাতে সারের স্লিপ বিতরন শুরু করেন। সেই স্লিপ নিয়ে কৃষকরা ওই ডিলারের গুদাম থেকে সার নিয়ে যাচ্ছিলেন। টিএসপি সার কম দেয়ায় সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ একদল কৃষক ইউনিয়ন পরিষদে সার বিতরনে দায়িত্বে থাকা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ডিলারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। একই সময় অপর একটি দল গুদামে গিয়ে হুড়োজুড়ো করে গুদামে ঢুকে বেশ কিছু বস্তা সার লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
গুদামে উপস্থিত মেসার্স ওয়াছেক খান এর মালিকের ছেলের বউ মাহমুদা আক্তার রুমি বলেন, আমি এসে দেখি লোকজন সারের বস্তা জোর পুর্বক ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যে যার যার মত লুট করেছে আমাদের গুদাম। তবে কি পরিমান লুট হয়েছে তা হিসাব না করে বলা যাচ্ছে না।
হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শাহীন মোঃ আমান উল্লাহ বলেন, অবরুদ্ধ নয়, ৪০/৫০ জন লোক একটু হট্টগোল করেছিল টিএসপি সারের জন্য। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। সার লুটের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
