

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশু ওয়ার্ডে শয্যাসংকট দেখা দিয়েছে। ২০ শয্যার ওই ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ৪৭ জন রোগী। সিট খালি না থাকায় অনেকেই মেঝে ও বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সেবিকারা।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে নারী ও শিশু ওয়ার্ডে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
চিকিৎসকদের মতে, মৌসুম পরিবর্তনের কারণে সম্প্রতি শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গত তিন দিনে নারী ও শিশু ওয়ার্ডে শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
মেঝেতে থাকা বামনী ইউনিয়নের সালমা আক্তার দুই বছরের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি বলেন, “শয্যা কম হওয়ায় অনেক রোগীকে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ফ্যান না থাকায় প্রচণ্ড গরমে আমাদেরও অসুস্থ লাগছে।
উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের উদমারা গ্রামের মাহফুজা আক্তার বলেন, “শিশু ওয়ার্ডে জায়গা নেই, তাই শিশুকে নিয়ে মেঝেতেই থাকতে হচ্ছে।
হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট ডা. মামুনুর রশীদ পলাশ বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুদের মধ্যে সর্দি, জ্বর, ডায়রিয়া, পেটের ব্যথা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বেড়েছে। অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। শিশুদের পর্যাপ্ত তরল খাবার ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়াতে হবে, ঘেমে গেলে জামা পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ডে শয্যার তুলনায় দ্বিগুণ রোগী ভর্তি রয়েছে। তবুও সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। হাসপাতালে জনবল সংকট আছে, জনবল বাড়ানো গেলে আরও ভালোভাবে সেবা দেওয়া সম্ভব।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাহারুল আলম বলেন, রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানসম্মত সেবার কারণে আশপাশের এলাকার মানুষও এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। এতে নারী ও শিশু ওয়ার্ডে সব সময় রোগীর চাপ থাকে। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। শয্যাসংকট দূর করতে ওয়ার্ড সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
