

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলাকে দেশের ৬৫তম জেলা ঘোষণার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো উপজেলা।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশাল মশাল মিছিল। যেখানে অংশগ্রহণকারীরা “বাজিতপুর জেলা চাই’ জেলার দাবি মানতে হবে’ -এমন স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো পৌর শহর।
বাজিতপুর জেলা বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলটি রাত আটটার দিকে পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। হাতে মশাল নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে যোগ দেন। মিছিলটি শেষে আলোছায়া মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাজিতপুরের রয়েছে ঐতিহাসিক, প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক গুরুত্ব। প্রায় দেড় শতাব্দী আগে ব্রিটিশ সরকার ‘হাওরের দ্বার’ খ্যাত এই অঞ্চলে সাত থানার চৌকি (দেওয়ানী) আদালত প্রতিষ্ঠা করেছিল। ১৯১২ সালে মহকুমা স্থাপনের লক্ষ্যে বাজিতপুরে কয়েকশ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়, কিন্তু তা বাস্তবায়নের আগেই প্রশাসনিক কাঠামো স্থানান্তরিত হয় অন্যত্র।
বক্তারা আরও বলেন, হাওরাঞ্চলের কৃষি, কৃষক ও পরিবহন ব্যবস্থার সুবিধা বিবেচনায় তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাজিতপুরে একটি এয়ারস্ট্রিপ (বিমানবন্দর) স্থাপন করে। পরবর্তীতে এরশাদ সরকারের আমলে বাজিতপুরে জেলখানাও নির্মিত হয়। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়- বাজিতপুরকে জেলা ঘোষণার জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত যোগ্যতা বহু আগে থেকেই বিদ্যমান।
বক্তারা বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও জনসংখ্যার বিচারে বাজিতপুর আজ স্বাধীন বাংলাদেশের একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা হওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করেছে।
তারা বলেন, আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি দীর্ঘদিনের জনদাবি বাস্তবায়ন করে বাজিতপুরকে ৬৫তম জেলা ঘোষণা করা হোক। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান জানানো হোক।
দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রয়োজনে সড়ক, রেল ও প্রশাসনিক দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাজিতপুর জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক বদরুল রহমান, বিএনপি নেতা জসিম মাহমুদ, সমাজসেবক মো. শহিদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক, ছাত্রনেতা জুবায়ের আহমেদসহ বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
মশাল মিছিল শেষে শহরের বিভিন্ন মোড়ে ‘বাজিতপুর জেলা চাই’ লেখা ফেস্টুন ও পোস্টারও টানানো হয়। আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি শিগগির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
মন্তব্য করুন