

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


স্বপ্নের পালে হাওয়া লাগিয়ে এগিয়ে চলেছেন এক তরুণ, যার প্রতিটি পদক্ষেপ মানবতার ছোঁয়ায় আলোকিত। কখনো আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন, কখনো মাটিতেই সিংহাসন গড়ে তোলার ইচ্ছা—সবকিছুতেই তিনি খুঁজে পান মানুষের ভালোবাসা। তিনি হলেন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন ‘ দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন’- এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ।
চট্টগ্রামের হালিশহরে জন্ম নেওয়া এই তরুণের শেকড় পটুয়াখালীর দশমিনার মাটিতে। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন সংস্কৃতিমনা—নাট্যচর্চা, কবিতা আবৃত্তি কিংবা প্রাণবন্ত বিতর্ক—সব ক্ষেত্রেই ছিলেন সবার প্রিয় ও পুরস্কার প্রাপ্তমুখ। সহজাত নেতৃত্বগুণ ও আন্তরিকতা তাকে টেনে নেয় সাংবাদিকতা ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্বের জগৎ এ।
প্রায় ৮ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে মুহাম্মদ আবু আবিদ কাজ করেছেন জাতীয় ও আঞ্চলিকসহ নানা গণমাধ্যমে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল মোহনা টেলিভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি জাতীয় দৈনিক "আলোকিত প্রতিদিন"- এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও অনলাইন প্রধান। সাংবাদিক সংগঠনেও তার ভূমিকা স্মরণীয়। টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্র্যাব) -এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র এবং ঢাকা মেট্টোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি (DMCRS)-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন।
অপরাধ, দুর্নীতি ও সামাজিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে তার প্রতিবেদন তাকে দিয়েছে যেমন জনপ্রিয়তা, তেমনি সাহসী সাংবাদিকের পরিচয়ও। সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে তার সোচ্চার অবস্থান তাঁকে এনে দিয়েছে পেশাগত মহলে বিশেষ সম্মান।
২০১৯ সালে আবিদ প্রতিষ্ঠা করেন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন —একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশব্যাপী আলোচনায় আসে। সংগঠনের সবচেয়ে আলোচিত কর্মসূচি ‘আমরা মালি’, যা শুধুমাত্র বৃক্ষরোপণেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং গাছের পরিচর্যা ও পরিবেশ রক্ষার জন্য তরুণ সমাজে অনন্য সচেতনতা সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে লাখো তরুণ যুক্ত হয় এক বৈপ্লবিক সামাজিক আন্দোলনে।
এছাড়াও ফাউন্ডেশনটি পরিচালনা করেছে একাধিক ইউনিক, মানবিক ও সৃজনশীল উদ্যোগ—‘ফ্রি ঈদ শপিং’, ‘সবার জন্য চাল-ডাল’, ‘শীতে উষ্ণ খাবার’, ‘আমরা মানুষ (অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি)’, ‘অন্যরকম ভালোবাসা দিবস’, ‘পিঠা উৎসব’, ‘ভিন্নধর্মী নববর্ষ আয়োজন’ ইত্যাদি। সম্পন্ন করা শতাধিক প্রজেক্ট এর প্রতিটি প্রজেক্ট ই ছিল ব্যতিক্রমী। প্রতিটি আয়োজনেই শিল্প, মানবতা ও সমাজসেবাকে একত্রে যুক্ত করে নতুন এক মাত্রা দিয়েছেন তিনি।
তার নেতৃত্বে ফাউন্ডেশন পেয়েছে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা, যা তরুণদের জন্য গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। তবে আবিদ মনে করেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার মানুষের ভালোবাসা।”
মুহাম্মদ আবু আবিদের জীবনগাঁথা এক তরুণ হৃদয়ের দুঃসাহসী স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি। তিনি প্রমাণ করেছেন—দারিদ্র্য কিংবা প্রতিকূলতা কোনো কিছুই স্বপ্নকে থামাতে পারে না। দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি থাকলে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব, অনুপ্রেরণার প্রতীক হওয়াও সম্ভব।
বাংলাদেশের প্রতিটি প্রভাত নতুন স্বপ্ন নিয়ে আসে হাজারো তরুণের জীবনে। কিন্তু আবিদ আলাদা, কারণ তিনি প্রমাণ করেছেন- একজন তরুণও পারে পুরো জাতিকে নাড়া দিতে, হতে পারে বিস্ময়ের প্রতীক।
মন্তব্য করুন
