

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নির্বাচন সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হলে এর দায়ভার প্রধান উপদেষ্টাকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি অভিযোগ করেন, ঐকমত্য কমিশন জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক এহসান মাহমুদের লেখা ‘বিচার-সংস্কার-নির্বাচন, অন্তর্বর্তী আমলে বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আদর্শ প্রকাশনী।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আমার আহ্বান যা যা সংস্কার প্রয়োজন, তা সম্পন্ন করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন। জনগণ সেই নির্বাচনের ফল মেনে নেবে। কিন্তু যদি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হয়, তার সম্পূর্ণ দায় প্রধান উপদেষ্টাকেই নিতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, ঐকমত্য কমিশন তাদের প্রতিবেদনে রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ অন্তর্ভুক্ত করেনি। আমরা অবাক হয়েছি, যেসব বিষয়ে মতভেদ ছিল, তা বাদ দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এটা কোনো ঐকমত্য নয় -এটা স্পষ্টতই প্রতারণা।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই বিষয়গুলো দ্রুত সংশোধন না করলে ঐক্য বিনষ্ট হবে। জাতি আজ এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে একটি সত্যিকার গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই সংকটের সমাধান সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, আমরা ৫ আগস্টের পর নির্বাচনের কথা বলেছিলাম। অনেকে তখন বলেছিলেন, বিএনপি তাড়াহুড়ো করছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কারণে অস্থিতিশীল শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা জাতি হিসেবে কোথায় যাচ্ছি, সেটি নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। এত ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পরিবর্তনকে আমরা জাতির কল্যাণে ব্যবহার করতে পারছি না। বরং দিন দিন বিভাজন বাড়ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষ-বিপক্ষ তৈরির প্রবণতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, “এটা ঐক্যের সময়, বিভাজনের নয়। এখন ন্যূনতম বিষয়গুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছে একটি জাতীয় পথনির্দেশ তৈরি করা জরুরি।”
বিএনপির সংস্কারবিরোধী হওয়ার অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে সংস্কারের মধ্য দিয়ে। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে একদলীয় শাসনের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল বিএনপি। কিন্তু এখন পরিকল্পিতভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে যে আমরা সংস্কার চাই না -এটা মিথ্যা প্রচারণা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, চর্চা ডটকমের সম্পাদক সোহরাব হাসানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকরা।
মন্তব্য করুন
