

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


স্বাধীনতার পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পর খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায় ৪০ জনের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এই ব্যক্তিদের ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের তালিকা খুলনা জেলা কমান্ডে জমা দিয়েছে। বর্তমানে উপজেলায় ১৬৮ জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ভাতা পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এমদাদুল হক গাজী জানান, তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে—তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। এজন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে তাদের সামাজিকভাবে বর্জন করতে এবং মৃত্যুর পর ‘গার্ড অব অনার’ না দেওয়ার জন্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের পর সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশায় অসত্য তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
এ সময় অনেকেই জাল কাগজপত্র ও প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিবন্ধন করান।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার মসজিদকুড় গ্রামের আব্দুর রহমান সানা ও প্রয়াত সাংবাদিক জিএম মতিউর রহমান একাধিক ব্যক্তিকে এ ধরনের সনদ নিতে সহায়তা করেছিলেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা এই ৪০ জনকে অমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন—আকছেদ আলী, খোদাবক্স সানা, মোফাজ্জেল হোসেন, নূর আলী, আব্দুল আজিজ, আবু বক্কর সিদ্দিকী, অসিত বরণ, আব্দুস সবুর, আব্দুল মালেক, আব্দুর রাজ্জাক, ফজলুল হক, মাধব কুমার, আব্দুল গফুর, আশরাফ হোসেন, মাধব চন্দ্র, নির্মল চন্দ্র, ইমতাজ উদ্দীন, প্রভাষক লুৎফর রহমান, মৃত আব্দুল গফুর, আব্দুল গফ্ফার, গফুর গাজী, রশিদ, মেছের আলী, বট কৃষ্ণ, আবুল হোসেন, আফতাব উদ্দিন, ছফেদ আলী, আব্দুল হাকিম, এনসান আলী, লুৎফর রহমান, সানা, সুরত আলী, ইউসুফ আলী, আব্দুল জব্বার, আনোয়ার হোসেন, মৃত আব্দুল খালেক, ফজর আলী, আব্দুর রাজ্জাক, এমদাদ আলী সরদার ও আসাদুল সানা।
এমদাদুল হক গাজী আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা রক্ষায় ভুয়া সনদধারীদের শনাক্ত ও তাদের সুবিধা বাতিলের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি।
তালিকা যাচাই শেষে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন পেলে তাদের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বন্ধ করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট নথি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি আরও জানান, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে ধরে রাখতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    