

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


যশোর শহরের ব্যস্ত ভায়না দোরাস্তা মোড়ের একটি বাড়িতে সংঘটিত আলোচিত ডাকাতির ঘটনার রহস্য ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে। প্রায় এক মাস পর তথ্যপ্রযুক্তি ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাজধানী ঢাকা থেকে ডাকাত চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
ডাকাতির মামলায় আটক যুবকের নাম মাসুম সরদার (২৮)। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে ডাকাতির সময়কার বিভিন্ন তথ্য ও আলামতের মিল পাওয়া যায়। পরে বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানার আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
কোতোয়ালি থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনার পরপরই ডাকাতরা কোনো ধরনের চিহ্ন না রেখে পালিয়ে যাওয়ায় তদন্তে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। তবে আশপাশের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজন একজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর ঢাকায় অভিযান চালিয়ে মাসুম সরদারকে আটক করা হয়।
আটক মাসুম খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার আল আমিন মহল্লার বাসিন্দা বাচ্চু সরদারের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, এই ডাকাতির সঙ্গে সাত থেকে আটজন জড়িত ছিল। চক্রটির সদস্যরা ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে। ইতোমধ্যে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদি থানায় এই চক্রের আরেক সদস্য আটক রয়েছে। তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে যশোরে আনার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ জানায়, মাসুমের কাছ থেকে ডাকাতির সময় লুট হওয়া ২১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যে বাকি লুট হওয়া স্বর্ণালঙ্কার ও অর্থ উদ্ধারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে হাবিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা খাওয়া-দাওয়াশেষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক দুইটার দিকে বাড়ির পেছনের তালা ভেঙে একদল ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে। ঘুমন্ত অবস্থায় তার স্ত্রী ও মেয়েকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আলমারি ভেঙে ১৮ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার, দুই লাখ টাকা নগদ, একটি মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৭০ হাজার টাকার অন্যান্য মালামাল লুট করে নেয়।
মন্তব্য করুন
