

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নে এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত সড়কের দুই পাশে থাকা প্রায় অর্ধশতাধিক মূল্যবান আকাশমনি গাছ চুরি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাসে এই ঘটনায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার সরকারি সম্পদ হারিয়েছে রাষ্ট্র।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, বহরা ইউনিয়নের গিলাতলী চার রাস্তার মোড় থেকে খানকা শরিফ হয়ে চেঙ্গার বাজার পর্যন্ত এলজিইডি রাস্তার দুই পাশে বড় আকারের ৪০ থেকে ৫০টি গাছ সম্প্রতি চোরচক্র কর্তৃক কেটে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, রাতের অন্ধকারে ইলেকট্রিক মেশিন ব্যবহার করে গাছগুলো কেটে পাচার করা হচ্ছে।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুল করিম বলেন, “প্রতিদিন রাতেই ৪-৫টি সরকারি গাছ কেটে পাচার হচ্ছে। রাস্তার পাশে গাছ না থাকায় পথচারীদের জন্য রোদের তাপে চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে।”
বহরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন জানান, “গাছ চুরির ঘটনায় যারা জড়িত তাদের নাম-ঠিকানা আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে পাঠিয়েছি।
প্রায় ১০ দিন পার হলেও এখনও কোনো মামলা বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদ কখনোই চোরচক্রের সঙ্গে হাত মিলাবে না। আমরা ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেছি।”
উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউন নবী বলেন, “এ বিষয়ে আপনারা আমাদের মাধ্যমে জানতে পারলেন। আমরা দ্রুত থানাকে অবহিত করব।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ বিন কাসেম বলেন, “রাস্তার পাশে গাছ কাটা নিয়ে আমরা তদন্ত চালাচ্ছি। ইতোমধ্যে অন্য ইউনিয়নে এমন ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বহরা ইউনিয়নের ঘটনাটিও খতিয়ে দেখার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সহিদ-উল্লাহ বলেন, “বন বিভাগের সহযোগিতা চাইলে আমরা প্রস্তুত আছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের মতে, সরকারি গাছগুলো কেটে নেওয়া শুধুই সম্পদের ক্ষতি নয়, এটি পরিবেশ ও জনজীবনের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। রাস্তার পাশে গাছ না থাকায় গরমের তাপে চলাচল কঠিন হয়ে উঠছে, বাতাসে শীতলতা কমে গেছে, এবং এলাকাবাসীর জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
