

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ এলাকার সীমান্তে আবারও মিয়ানমারের গুলি এসে পড়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর)বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুলি এসে দুটি স্থানে পড়লে এক নারী আহত হন এবং একটি কম্পিউটার দোকান ও একটি বাড়ির টিনের ছাউনি ছিদ্র হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতের দিকে হঠাৎ মিয়ানমারের দিক থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে সীমান্ত অতিক্রম করে দুই রাউন্ড গুলি এসে পড়ে হোয়াইক্যং তেচ্ছি ব্রিজ এলাকার জনবসতিতে। একটি গুলি স্থানীয় কম্পিউটার দোকানের ছাদের টিন ভেদ করে ভেতরে পড়ে, অপরটি নিকটবর্তী একটি বাড়ির টিনে লেগে ছিদ্র হয়ে যায়।
গুলির একটি টুকরো আঘাত হানে ওই বাড়িতে অবস্থানরত এক নারীর শরীরে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত নারী ছেনুয়ারা বেগম(২৭)।প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ীতে অবস্থান করছে বলে পরিবার সুত্রে জানা গেছে।
গুলির শব্দ ও ঘটনাস্থলে টিন ছিদ্র হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ব্যবসায়ী আমরা দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, হঠাৎ গুলি এসে দোকানের টিনে লাগে। সবাই ভয়ে দৌড়ে পালাই। পরে দেখি দোকানের ছাদে ছিদ্র হয়ে গেছে।
আরেক বাসিন্দা জানান—রাতে শিশুরা কাঁদতে থাকে। সবাই ঘরের ভেতর লাইট নিভিয়ে দেয়। সীমান্তের ওপারে যুদ্ধের শব্দ প্রায়ই শোনা যায়, কিন্তু এবার গুলি এসে পড়ায় সবাই আতঙ্কে।
ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জায়েদ নুর বলেন গুলির দুটি খোসা ও টিনে ছিদ্রের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মিয়ানমারের ভেতরে চলমান সংঘর্ষের stray bullet বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের একটি সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু ও নিকটবর্তী এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র গোলাগুলি চলছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় মাঝে মাঝে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে এবং কয়েকবার গুলি বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি এসে পড়েছে।
বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে এবং সীমান্তের বাসিন্দাদের অযথা সীমান্তবর্তী এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চলে (হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া, নাফ নদীর পাড় ও তেচ্ছি) মিয়ানমারের যুদ্ধের শব্দ ও গুলি পড়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক পরিবার রাতে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন প্রায় প্রতিদিনই ওপারের যুদ্ধের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। সীমান্তবাসী আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
