

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার সদর দক্ষিণের বেলতলী এলাকায় সড়ক বিভাজকে কেটে ফেলা গাছের জায়গায় নতুন করে প্রায় ৮০টি বকুলগাছ রোপণ করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। দুই দিন ধরে সওজের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নির্মাণশ্রমিকরা গাছ রোপণের কাজ সম্পন্ন করেন।
সওজের কুমিল্লা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান ইবনে হাসান বলেন, বিভাজকের প্রায় ৫০০ মিটার এলাকায় নতুন বকুলগাছ লাগানো হয়েছে। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আগের গাছগুলো কেটেছেন, তাঁকে ইতিমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বিভাজকের গাছের পৃথক তদারকি–জনবল না থাকায় সওজের কর্মীরাই নিয়মিত পরিচর্যার কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি বেলতলীতে সড়কের মাঝের বিভাজক থেকে অর্ধশতাধিক বকুলগাছ কেটে ফেলেন আজমিরী হোসেন নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় সওজ মামলা করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
কুমিল্লা শহরের উদ্ভিদপ্রেমী ও চিকিৎসক আবু নাঈম বলেন, বকুল খুবই সহনশীল ও দীর্ঘজীবী গাছ। অযত্নে বা প্রাকৃতিক কারণে সহজে নষ্ট হয় না। তাঁর মতে, মহাসড়কে বকুলগাছ শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না, বরং রাতের আঁধারে এক পাশের গাড়ির হেডলাইটের আলো যেন বিপরীত দিকের চালকের চোখে সরাসরি না লাগে—সে কাজেও এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।
সওজের কুমিল্লা নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানান, যেসব স্থানে গাছ কাটা হয়েছিল, সেসব জায়গায় নতুন করে প্রায় ৮০টি গাছ লাগানো হয়েছে। দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখন তিনি জেলহাজতে আছেন।
২০১৬ সালে মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত হওয়ার পর বিভাজকে নান্দনিকতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে রোপণ করা হয় নানা ধরনের গাছ। দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত ১৯২ কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৩ কিলোমিটারজুড়ে লাগানো হয়েছে বকুল, কাঞ্চন, করবী, গন্ধরাজ, রাধাচূড়া, কুর্চি, টগর, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, কদমসহ ৫০ হাজারের বেশি ফুলের গাছ। পাশাপাশি জলপাই, অর্জুন, কাঁঠাল, মেহগনি, শিশু, আকাশমণি, নিম, একাশিয়াসহ ৪০ হাজারের বেশি ছায়াগাছও রোপণ করা হয়। বেলতলী একসময় বকুলগাছের সারির জন্য আলাদা পরিচিতি পেয়েছিল। নতুন রোপণের ফলে সেই হারানো সৌন্দর্য আবার ফিরে আসবে বলেই আশা করছে সওজ।
মন্তব্য করুন