

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহিরকে (৫০) কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনার মামলা দায়ের করেন নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী আইরিন আক্তার। মামলায় চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য কাউছার মানিক বাদলসহ মোট ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নিহত জহির হত্যা হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন।
তিনি ভিডিও রেকর্ড করে স্ত্রীকে পাঠিয়েছিলেন, যাতে সম্ভাব্য হামলায় অভিযুক্তদের নাম জানা যায়।
অভিযুক্তদের ভয়ে জহিরের প্রথম স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়-স্বজন মামলা করতে সাহস পাননি।
জহির ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার পশ্চিম লতিফপুর এলাকার ব্যক্তিগত কার্যালয় ছিল। গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে বাসায় ফেরার পথে পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের পাঁচপাড়া সড়কে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, নিহত জহির চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় ছাত্রদল কর্মী কাউছারের সঙ্গে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
সম্প্রতি এলাকায় খেলার আয়োজনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বেড়ে যায়, যা হত্যাকাণ্ডে পরিণত হয় বলে মনে করা হচ্ছে।
মামলার প্রধান আসামি কাউছার ইতিমধ্যে একাধিক হত্যাসহ মামলার পলাতক। নিহত জহিরের বিরুদ্ধেও মাদকসহ ৭টি মামলা এবং একাধিক জিডি রয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়জুল আজীম বলেন, “মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রী মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদেরও শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হবে।”
মন্তব্য করুন
