বিএনপিতে যোগ দিলেন আওয়ামী লীগ-জামায়াতের দুই শতাধিক নেতাকর্মী

বগুড়ার শিবগঞ্জে বিএনপির সম্প্রসারিত কার্যক্রমে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ এবং জামায়াত-শিবিরের দুই শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দিয়েছেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টায় উপজেলার ময়দানহাট্টা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক কর্মিসভায় ফুলেল শুভেচ্ছার মধ্য দিয়ে তারা বিএনপিতে যোগ দেন। তাদের হাতে ফুল তুলে দেন শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জামায়াত নেতা জুয়েল রানা ও সাবেক শিবির নেতা রেদোয়ান আহমেদ বাবুর নেতৃত্বে শতাধিক জামায়াত কর্মী বিএনপিতে যোগ দেন।

পরে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহানা বেগম এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম মিয়ার নেতৃত্বে আরও শতাধিক যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থক বিএনপির যোগদান করেন।

‘এটি শুধু যোগদান নয়, প্রতিরোধের ঘোষণা’ কর্মিসভায় সভাপতির বক্তব্যে মীর শাহে আলম বলেন, এটা কেবল দলবদল নয়, এটা জনগণের ঐক্য ও স্বৈরাচারবিরোধী লড়াইয়ের নতুন সূচনা। বিএনপি আজ মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল ধানের শীষই এখন মুক্তির প্রতীক।

তিনি নবাগতদের উদ্দেশে বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় শুধু নিশ্চিত করাই নয়, রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জয়লাভ করে আমাদের নেতা তারেক রহমানকে উপহার দিতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এখন থেকে ঘরে ঘরে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতারণা বা ধর্মের নামে মোনাফেকি করব না। আমরা বিশ্বাস করি তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করেই দেশের মুক্তি সম্ভব।

প্রধান অতিথি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক (অস্ট্রেলিয়া) রাশেদুল হক বলেন, জিয়া পরিবার সব সময় জাতির সংকটে জনগণের পাশে থেকেছে। এই পরিবারই এ দেশের রাজনীতিতে আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেমের প্রতীক। দেশের স্বার্থে যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জামায়াত-শিবির দেশপ্রেমের মুখোশ পরে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তাদের শেকড় দেশের বাইরে, তারা অন্য শক্তির হাতের পুতুল। তাই এই গুপ্ত সংগঠনের রাজনৈতিক পরিসমাপ্তি ঘটানো সময়ের দাবি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সাজু। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মাহবুব আলম মানিক।

এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল ওহাব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস. এম. তাজুল ইসলাম, প্রবীণ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও মোস্তাফিজার রহমান রাজা প্রমুখ।

কর্মিসভা শেষে নবাগতদের হাতে ফুল তুলে দিয়ে মীর শাহে আলম বলেন, আজকের এই মিলনমেলাই প্রমাণ করে-দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, এবং সেই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেবে বিএনপি।