

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল লেনদেনের যুগে তাল মেলাতে ও ব্যয় কমাতে এক সেন্ট মূল্যের মুদ্রা ‘পেনি’ উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রচলিত পেনিগুলো এখনও বৈধ থাকবে এবং ব্যবহার করা যাবে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) ফিলাডেলফিয়ার মুদ্রা কারখানায় শেষ ব্যাচের পেনি তৈরি হওয়ার মধ্য দিয়ে দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলা এই ঐতিহ্যের সমাপ্তি ঘটবে, জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
১৭৯৩ সালে প্রথম চালু হওয়া এই মুদ্রা ২৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমেরিকার অর্থনীতির অংশ ছিল। কিন্তু উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সরকার এখন তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে তামা-প্লেটেড জিঙ্ক দিয়ে তৈরি প্রতিটি পেনি বানাতে খরচ হয় প্রায় ৪ সেন্ট, অর্থাৎ এর প্রকৃত মূল্যের চেয়ে চার গুণ বেশি।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, উৎপাদন বন্ধ হলে প্রতি বছর প্রায় ৫৬ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে থেকেই বলেছিলেন, “জাতীয় বাজেট থেকে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে হবে — সেটা এক পেনি হলেও।”
ডিজিটাল পেমেন্ট বাড়ায় এখন এক সেন্টের মুদ্রার ব্যবহার প্রায় অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত পেনির সংখ্যা প্রায় ৩০০ বিলিয়ন, যার বড় অংশই ব্যবহৃত হচ্ছে না। এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটির ঘরে ঘরে গড়ে ৬০ থেকে ৯০ ডলার মূল্যের কয়েন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত ভোক্তাদের জন্য সামান্য অতিরিক্ত ব্যয় বয়ে আনতে পারে। দাম পূর্ণ সংখ্যায় সমন্বয় করতে গিয়ে বার্ষিক প্রায় ৬ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচ পড়তে পারে ক্রেতাদের ওপর।
মন্তব্য করুন
