ভেনেজুয়েলার আকাশপথ সম্পূর্ণ বন্ধ: ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলা ও এর আশপাশের আকাশপথ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ নভেম্বর) নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ বক্তব্য দেন।

ট্রাম্প তাঁর বার্তায় লেখেন—সব এয়ারলাইনস, পাইলট, এমনকি মাদক পাচার ও মানবপাচারে জড়িত ব্যক্তিরাও যেন ভেনেজুয়েলার আকাশসীমাকে ‘সম্পূর্ণভাবে বন্ধ’ ধরে বিবেচনা করেন। তবে কেন তিনি এমন সতর্কতা দিলেন বা এর উদ্দেশ্য কী—তা তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেননি।

সাম্প্রতিক সময় ভেনেজুয়েলার ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়াতে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ব্যাপক সামরিক শক্তি মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড’ও সেখানে পাঠানো হয়েছে। ওয়াশিংটনের দাবি, অঞ্চলজুড়ে মাদক পরিবহন ঠেকাতেই এ অভিযান; কিন্তু ভেনেজুয়েলা বলছে নির্বাচিত মাদুরো সরকারকে হটানোই যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য।

মার্কিন নৌবাহিনী সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় সাগর ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একের পর এক অভিযানে ২০টির বেশি ‘মাদকবাহী’ নৌযান টার্গেট করে। এসব হামলায় ৮০ জনের বেশি প্রাণ হারায় যাদের নৌযানগুলো ভেনেজুয়েলার বলে দাবি করা হচ্ছে। এসব ঘটনার পর অঞ্চলটির উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

গত সপ্তাহে মার্কিন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ভেনেজুয়েলার আকাশসীমায় উড়োজাহাজ চালাতে চাইলে অতিরিক্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়। কারণ হিসেবে বলা হয় ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি ও সামরিক তৎপরতার বৃদ্ধি।

এ সতর্কতা জারির পর দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপের ছয়টি উল্লেখযোগ্য এয়ারলাইনস তাদের ভেনেজুয়েলাগামী সব ফ্লাইট বাতিল করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ইবেরিয়া, টিএপি, অ্যাভিয়াঙ্কা, ল্যাটাম, গোল ও তুর্কিশ এয়ারলাইনস।

এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভেনেজুয়েলা পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এয়ারলাইনসগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কারাকাসের অভিযোগ—এসব প্রতিষ্ঠান মার্কিন সরকারের সমর্থনে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদে’ অংশ নিয়েছে।