

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গাজায় আটক সকল ইসরায়েলি জিম্মি নিরাপদে দেশে ফিরে আসার নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
রবিবার (১২ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান বলেন, যখনই আমরা নিশ্চিত হব যে মুক্তিপ্রাপ্ত সব জিম্মি ইসরায়েলি সীমান্ত অতিক্রম করে দেশে প্রবেশ করেছে, তখনই ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি আরও জানান, বন্দিদের বহনের জন্য নির্ধারিত বাসগুলো ইতিমধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, এবং জিম্মিদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের নিশ্চিত সংকেত পেলেই এসব বাস রওনা দেবে।
এর আগে যুদ্ধবিরতির সময় ফেরত আসা কিছু জিম্মির মরদেহ ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছিল।
বেদ্রোসিয়ান জানান, গাজায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আটক সব জিম্মির মুক্তি প্রক্রিয়া সোমবার ভোরে শুরু হওয়ার কথা।
ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধসমাপ্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অনুমোদন করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর যে যুদ্ধ শুরু হয়, এই পরিকল্পনার লক্ষ্য তার সমাপ্তি টানা।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, হামাসকে সোমবার দুপুরের মধ্যে বাকি ৪৭ জন জিম্মি-জীবিত ও মৃত উভয়কেই, মুক্তি দিতে হবে। এর মধ্যে ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধের সময় নিহত এক ইসরায়েলি সেনার মরদেহও রয়েছে।
বেদ্রোসিয়ান বলেন, আমরা আশা করছি, ২০ জন জীবিত জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে। তারা ৬ থেকে ৮টি গাড়িতে করে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আসবেন।
পরবর্তীতে জিম্মিদের দক্ষিণ ইসরায়েলের রেইম ঘাঁটিতে নেওয়া হবে, যেখানে তারা পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলিত হবেন। চিকিৎসার জন্য তাদের তিনটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে, শেবা মেডিকেল সেন্টার (১০ জন), বেইলিনসন হাসপাতাল (৫ জন) এবং ইচিলোভ হাসপাতাল (৫ জন)-এ।
অন্যদিকে, মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মধ্যে প্রায় ২৫০ জন নিরাপত্তা বন্দি, যাদের অনেকেই ইসরায়েলি নাগরিক হত্যার অভিযোগে দণ্ডিত। এছাড়া আরও প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন বন্দি রয়েছেন, যারা গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
