

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গাজা সিটিতে ট্যাংক ও যুদ্ধবিমান দিয়ে তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে আতঙ্কিত হাজারো ফিলিস্তিনি নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দক্ষিণমুখী হতে বাধ্য হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এএফপি-র সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এমন পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন।
চোখের সামনে বিস্ফোরণ আর আকাশজুড়ে কালো ধোঁয়া-এ অবস্থায় অনেক পরিবার পায়ে হেঁটে, কেউ আবার যানবাহন বা গাধার গাড়িতে সামান্য মালপত্র নিয়ে শহর ছাড়ছে।
৩২ বছর বয়সী আয়াহ আহমেদ, যিনি পরিবারের ১৩ জন সদস্য নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন গাজার ভেতরে, বলেন-আর্টিলারি, বিমান হামলা, ড্রোন, গুলি-এক মুহূর্তের জন্যও থামে না। আমাদের দক্ষিণে যেতে বলছে, কিন্তু সেখানে থাকার জায়গা, তাঁবু কিংবা টাকা কিছুই নেই।
ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, দক্ষিণে যেতে গাড়িভাড়া এক হাজার ডলারেরও বেশি চাওয়া হচ্ছে।
৪৭ বছর বয়সী শাদি জাওয়াদ বলেন, অসহনীয় অবস্থা। চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ, মানুষ কাঁদছে আর চিৎকার করছে। আমরা মালপত্র নিয়ে হাঁটছি। এমনকি পথে ট্রাকের চাকা ফেটে সব জিনিসপত্র পড়ে যায়। আকাশের দিকে তাকিয়ে শুধু বলেছি—হে আল্লাহ, অন্তত একটি মিসাইল পাঠিয়ে আমাদের মুক্ত করো।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম এক্স-এ লিখেছেন, উত্তর গাজায় সামরিক অভিযান ও সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ নতুন বাস্তুচ্যুতি তৈরি করছে। মানুষকে একটি সীমিত এলাকায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যা মানবিক মর্যাদার পরিপন্থী। হাসপাতালগুলোও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
গাজার আল-শিফা হাসপাতালের তথ্যমতে, বুধবার রাত থেকে অন্তত ২০ জনের মরদেহ সেখানে আনা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, একদিনে ৬০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন ইসরায়েলি হামলায়।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, তারা হামাসের সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করেই অভিযান চালাচ্ছে। শুধু গাজা সিটিই নয়, রাফাহ ও খান ইউনিসেও হামলা পরিচালিত হয়েছে।
তবে মানবিক করিডোরের অংশ হিসেবে বুধবার ইসরায়েল ঘোষণা দেয়, সালাহ আল-দীন সড়ক দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার জন্য সরিয়ে নেওয়ার পথ খোলা থাকবে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, আগস্টের শেষ নাগাদ গাজা সিটি ও আশপাশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস করছিল। ইসরায়েলি পক্ষ দাবি করেছে, এর মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ ইতোমধ্যে এলাকা ছেড়েছে।
সূত্র : এএফপি।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    