

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আরব সাগরের উপকূলে একটি নতুন বন্দর স্থাপন ও পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান।
দেশটির সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের উপদেষ্টারা এই উদ্যোগ নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।
এই প্রস্তাবে প্রতিবেশি ভারত ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। এক সময় ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব কাছাকাছি ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন ভারতের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের এই পরিকল্পনা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের খনিজসম্পদ খাতে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, বেলুচিস্তানের পাসনি শহরকে একটি টার্মিনাল হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। এটি ইরান সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মাইল এবং গোয়াদর বন্দর থেকে ৭০ মাইল দূরে অবস্থিত— যেখানে চীনের সহায়তায় ইতোমধ্যে একটি বন্দর পরিচালিত হচ্ছে।
এই প্রস্তাবের মাধ্যমে পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাতে চাচ্ছে বলে ধারণা করছে পত্রিকাটি।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের হাতে পাওয়া পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন বিনিয়োগকারীরা পাসনিতে একটি নতুন বন্দর নির্মাণের পাশাপাশি তা পরিচালনার দায়িত্বও নিতে পারে। প্রকল্পটির আওতায় খনিজসমৃদ্ধ পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে রেল সংযোগ স্থাপন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন তহবিল গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, গত মাসের শেষ দিকে হোয়াইট হাউসে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে পাকিস্তানি উপদেষ্টারা কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার কাছে প্রস্তাবটি পৌঁছে দেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।
এছাড়া, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আরও কিছু বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে— যেমন আফগানিস্তানভিত্তিক আইএসআইএস-কে দমন অভিযানে সহযোগিতা বৃদ্ধি, গাজা শান্তি প্রক্রিয়ায় সহায়তা, ট্রাম্প-সমর্থিত ক্রিপ্টো প্রকল্পে অংশগ্রহণ এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি।
মার্কিন ও পাকিস্তানি কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর মে মাসে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনে ট্রাম্পের ভূমিকার পর থেকেই মুনির-ট্রাম্প সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস আরও জানায়, প্রস্তাবে স্পষ্ট করা হয়েছে— নতুন বন্দরটি সামরিক উদ্দেশ্যে নয়; এটি হবে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক।
এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোয়াইট হাউস, কিংবা পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সূত্র: ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস, রয়টার্স
মন্তব্য করুন
