

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গাজা উপত্যকায় আবারও ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত টানা বোমাবর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯১ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে ৩৫ জন শিশু রয়েছে।
স্থানীয় হাসপাতাল ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলাগুলোতে আহতের সংখ্যাও অনেক বেশি।
গাজার স্বাস্থ্যখাতের কর্মকর্তারা জানান, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান মূলত শরণার্থী শিবির, বসতবাড়ি ও তাঁবু এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এসব জায়গায় বেসামরিক লোকজন আশ্রয় নিয়েছিল। ফলে হতাহতদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ। (তথ্যসূত্র: আল জাজিরা)
সাম্প্রতিক এই হামলাকে অনেক বিশ্লেষক যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রকাশ্য লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, ইসরাইলের এসব পদক্ষেপ গাজার মানবিক সংকটকে আরও গভীর করছে।
হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসা অব্যাহত থাকলেও, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে অনেক রোগীকে পর্যাপ্ত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে।
ঘটনার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিন্দা ও হস্তক্ষেপের আহ্বান জোরদার হয়েছে। বহু দেশ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুরক্ষায় অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইসরাইলি বাহিনীর এক সদস্য নিহত হওয়ার পর দেশটি ‘প্রতিশোধমূলক’ অভিযান চালিয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, এতে চলমান যুদ্ধবিরতি “বিপন্ন হয়নি”। একই সঙ্গে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, “হামাসকে ভদ্র আচরণ করতে হবে।”
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি রাফাহ এলাকায় সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনীকে “শক্ত প্রতিক্রিয়া” জানানোর নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের পরই নতুন করে এই বিমান হামলা শুরু হয়। ইসরাইলি বাহিনী দাবি করেছে, ওই সংঘর্ষে তাদের এক সেনা নিহত হয়েছিল।
২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
