

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জম্মু–কাশ্মীরের শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় একটি পুলিশ স্টেশনে জব্দ করা বিস্ফোরক সামগ্রী হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতের এই ঘটনায় প্রাণ দিয়েছেন কমপক্ষে ৯ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন—এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য ও ফরেনসিক ইউনিটের কর্মকর্তা। বিস্ফোরণ যখন ঘটে, তখন তারা জব্দ করা বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিলেন। এছাড়া শ্রীনগর প্রশাসনের দুই সদস্যও দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। সম্প্রতি হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে সংগৃহীত বিস্ফোরকগুলোই ওই থানায় এনে রাখা হয়েছিল।
আহতদের ৯২ বেস সামরিক হাসপাতাল এবং শের-ই-কাশ্মীর ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নওগাম থানাই সম্প্রতি জইশ-ই-মোহাম্মদ নামক সংগঠনের পোস্টার টানানোর ঘটনার সূত্র খুঁজে বের করেছিল। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয় এবং কয়েকজন চিকিৎসককে আটক করা হয়।
গত অক্টোবর মাসে ধরা পড়া চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাথেরকে সিসিটিভি ফুটেজে পোস্টার লাগাতে দেখা যায় বলে দাবি করছে পুলিশ। সেই পোস্টারগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী ও বাইরের লোকজনকে লক্ষ্য করে বড় ধরনের হামলার বার্তা ছিল। রাথের গ্রেপ্তারের পর একটি বড় নেটওয়ার্কের সন্ধান মেলে, যদিও তার পরও একটি হামলা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় আরেক চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিলের নাম উঠে আসে। তার তথ্যের ভিত্তিতে হরিয়ানা ও জম্মু–কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে একই মেডিকেল কলেজের আরেক চিকিৎসক শাহীন সাঈদকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই নয়াদিল্লির লালকেল্লার সংলগ্ন ব্যস্ত সড়কে আই২০ মডেলের একটি গাড়িতে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে ১৩ জন নিহত এবং ২০ জনের মতো আহত হন। তদন্তে বেরিয়ে আসে যে উমর নজির নামের আরেক চিকিৎসক ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
জাতীয় তদন্ত সংস্থার সূত্র বলছে, প্রচুর বিস্ফোরক ও রাসায়নিক জব্দ হওয়া এবং সহযোগীদের গ্রেপ্তারে আতঙ্কিত হয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তি তড়িঘড়ি করে আইইডি তৈরি করেছিল। বিস্ফোরণ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, ডিভাইসটি ভুলভাবে প্রস্তুত করা হয়েছিল; ফলে সে পরিকল্পিত মাত্রার ক্ষতি করতে পারেনি।
মন্তব্য করুন
