

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভারতের কর্ণাটকে এক সরকারি কর্মচারীর আত্মহত্যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা ছড়িয়েছে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়া ও কর্মকর্তাদের মানসিক নির্যাতনের কারণেই জীবনের ইতি টেনেছেন তিনি। নিজের রেখে যাওয়া সুইসাইড নোটে মৃত্যুর পেছনের কারণ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন ওই কর্মচারী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, কর্ণাটকের চামরাজনগর জেলার একটি পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ওই কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম চিকুসা নায়কা, যিনি ২০১৬ সাল থেকে হোঙ্গানুরু গ্রাম পঞ্চায়েতে জলকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন।
সুইসাইড নোটে তিনি লেখেন, গত ২৭ মাস ধরে বেতন পাচ্ছিলেন না, বারবার অনুরোধ করেও কোনো সাড়া মেলেনি। স্থানীয় পঞ্চায়েত উন্নয়ন কর্মকর্তা (পিডিও), গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি এবং সভাপতির স্বামী তাকে ক্রমাগত মানসিকভাবে হয়রানি করছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নায়কার চিঠিতে আরও উল্লেখ ছিল, যদি আমি ছুটির আবেদন করতাম, তারা বলত অন্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে, তবেই ছুটি মিলবে। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করতে বাধ্য করা হতো। এই নির্যাতনের কারণেই আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে।
মৃত্যুর আগে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। ঘটনার পরপরই পুলিশ পিডিও, গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে এসসি/এসটি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনে মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে জেলা প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পিডিও রমে গৌড়াকে চাকরির নিয়ম লঙ্ঘন ও অবহেলার অভিযোগে বরখাস্ত করেছে।
ঘটনাটি রাজনৈতিক বিতর্কও তৈরি করেছে। বিরোধী বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করে বলেছে, সরকারি দপ্তরে দুর্নীতি ও অবহেলার কারণে সাধারণ কর্মচারীদের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে।
মন্তব্য করুন
