

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফ্রান্সে রাজনৈতিক অস্থিরতা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। একের পর এক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ, জাতীয় সংসদে গভীর বিভাজন এবং জনগণের আস্থাহীনতার কারণে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এখন আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি একঘরে হয়ে পড়েছেন।
সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরাও তার পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছেন। ফলে ফ্রান্সের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ এখন গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে।
ফ্রান্সের সংবাদ মাধ্যম ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জাতীয় সংসদ ভেঙে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল দেখিয়েছে, নতুন সংসদ আগের চেয়ে আরও বিভাজিত। এই অস্থির পরিস্থিতির কারণে এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ পরিস্থিতি ফ্রান্সে দীর্ঘস্থায়ী অস্থিতিশীলতার নতুন চক্রের সূচনা করছে। প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার ফিলিপসহ অনেকেই বলছেন, বর্তমান সংকট সরকারের পতনের ইঙ্গিত বহন করছে এবং প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ প্রয়োজন।
তবে ৪৭ বছর বয়সী ম্যাক্রোঁ এখনও পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্তে অনড় আছেন। তিনি সংসদ পুনরায় ভেঙে দিয়ে আরেকটি আগাম নির্বাচন ঘোষণা করার হুমকি দিয়ে বিরোধীদের চাপ দিচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, ফ্রান্সের বর্তমান বাস্তবতায় প্রেসিডেনশিয়াল শাসন কার্যকর হচ্ছে না। সংসদে বিভাজন ও নতুন রাজনৈতিক দলের উত্থানের ফলে প্রেসিডেন্ট ক্রমেই বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরাও ধীরে ধীরে তার থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।
এই অবস্থায় অনেকের মতে, ফ্রান্সের গণতন্ত্র এখন প্রাতিষ্ঠানিক ভাঙনের ধাপে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন
