

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, ইউরোপের ২৬টি দেশ ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, অস্ত্রবিরতির ঘোষণার পরদিনই স্থল, নৌ বা আকাশপথে সেনা মোতায়েন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ৩৫ দেশের অংশগ্রহণে আয়োজিত কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ম্যাক্রোঁ। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও খুব শিগগিরই এই উদ্যোগে যোগ দিতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ওয়াশিংটনের সহায়তা সরাসরি সেনা পাঠানো নয়, বরং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে হতে পারে। এ বিষয়ে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।
তবে সাম্প্রতিক ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানি বন্ধ করতে হবে, যাতে মস্কোর যুদ্ধ চালানোর সক্ষমতা দুর্বল হয়। ইইউ ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে তারা রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করবে।
যদিও সেনা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি ২৬ দেশ দিয়েছে, প্রকাশ্যে খুব কম দেশই সে বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলেছে, তারা স্থল সেনা পাঠাবে না। ইউরোপীয় কূটনীতিকদের মতে, এখনই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলে তা পুতিনের প্রচারণাকে আরও উসকে দিতে পারে।
অন্যদিকে মস্কো বলছে, ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা মোতায়েন করা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না এবং অস্ত্রবিরতির গ্যারান্টারদের মধ্যে রাশিয়ার ভূমিকা থাকতে হবে। তবে কিয়েভ ও তার মিত্ররা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
মন্তব্য করুন
